পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরে আরও বেপরোয়া বালুখেকোরা
কক্সবাজার প্রতিনিধি
|
![]() স্থানীয়রা জানান, ফাসিয়াখালীর বনবিভাগের পাহাড় কেটে ও উত্তর ঘুনিয়ার মাতামুহুরি নদীর ভরাট চর থেকে স্কেভেটর, পাম্প মেশিন ও বেলচা দিয়ে অবৈধভাবে বালু বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছে স্থানীয় প্রভাবশালী ১৫ সদস্যের সিন্ডিকেট। এ ঘটনা নিয়ে অতিসম্প্রতি কক্সবাজারস্থ পরিবেশ অধিদফতর অভিযান চালালে ‘সময়ের আলোতে’ সচিত্র সংবাদ প্রকাশ করা হয়। ওই সংবাদ প্রকাশের পর বালুখেকোরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। গাড়ী ও শ্রমিক বাড়িয়ে বালু পাচারে মেতে উঠে। এ তথ্য জেনে সোমবার ( ৬ ডিসেম্বর) পরিবেশ অধিদফতর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম ফের অভিযান চালায়। ওই সময় বালু পরিবহনে ব্যবহৃত ৫ টি ট্রাকসহ শ্রমিকরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন জানায়, প্রতিদিন বিকাল ৪ টার পর থেকে ভোর রাত পর্যন্ত বালি উত্তোলন ও পাচার চলে প্রতিদিন ওই সময় অন্তত ২ লাখ টাকার বালু বেচাকেনা হয়। ট্রাক প্রতি কনস্ট্রাকশনে ব্যবহৃত সাদা বালু সাড়ে ৩ হাজার টাকা ও সাধারণ বালু ট্রাক প্রতি ৭০০ টাকা করে নিচ্ছে বালুখেকোরা। পরিবেশ অধিদফতর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ইতিপূর্বে প্রকাশিত সংবাদের পেপার কাটিং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পাঠিয়েছেন। ৬ ডিসেম্বর সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে বেপরোয়া বালু উত্তোলন ও পাচারের দৃশ্য আমাদের নজরে আসে। ওই সময় ৫টি ট্রাকসহ শ্রমিকরা পালিয়ে যায়। বালু উত্তোলনে নিয়োজিত ব্যক্তিদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে আমাদের পক্ষ থেকে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
|