প্রকাশ: বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ৩:৩২ পিএম (ভিজিট : ৩১৪)
স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে নিজ গায়ে আগুন দিয়েছেন এক গৃহবধূ। আগুনে তার হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে উপজেলার আন্দার মানিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীকে দগ্ধাবস্থায় শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীর নাম ফাতেমা আক্তার।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৮ বছর আগে ফাতেমা আক্তার ও সুরুজ আলীর বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় স্ত্রীকে মারধোর করতেন সুরুজ। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) রাতেও ফাতেমাকে মারপিট করেন তিনি। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন ফাতেমা। পরে তার চিৎকার শুনে পরিবারের অন্য সদস্য ও প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসেন এবং তাকে উদ্ধার করে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট ভর্তি করান। ততক্ষণে ফাতেমার শরীর অনেকাংশই আগুনে পুড়ে যায়।
এ বিষয়ে সুরুজ আলী জানান, আমি গাড়ি নিয়ে বাইরে ছিলাম আমার বোন আমাকে খবর দেয়। খবর পেয়ে বাড়িতে এসে দেখতে পাই ফাতেমার শরীরে আগুনে পুড়ে গেছে।
ফাতেমার ভাই ইসলাম উদ্দিন জানান, ২৮ বছর আগে সুরুজের সঙ্গে তার বোনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। সুরুজ আলী মাঝে মধ্যে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন। এ বিষয় নিয়ে কয়েকবার বিচার সালিশও করা হয়েছে। তারপরেও তিনি সংশোধিত হননি। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া প্রায়ই লেগে থাকতো। এই সূত্র ধরে গতকাল ফাতেমা নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এখন তিনি শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তারা জানেন না। তবে পরবর্তীতে এ বিষয়ে অনুসন্ধান করবে পুলিশ।