জিরো কোভিড নীতি থেকে সরে আসছে চীন
সময়ের আলো অনলাইন
|
![]() সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলের রাজধানী উরুমকিতে বহুতলভবনে আগুনের ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর পর ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন স্থানীয়রা। কঠোর লকডাউন থাকায় আগুন লাগার পরও ভবনে আটকে থাকা অনেককেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে দাবি করেন অনেকে। এরপরই শহরটির বাসিন্দারা সরকারের জিরো কোভিড নীতির বিরুদ্ধে রাস্তায় নামেন। দ্রুতই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে পুরো দেশে। একপর্যায়ে তা সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। টানা আন্দোলনের মুখে অবশেষে জিরো কোভিড নীতির প্রধান কয়েকটি বিধিনিষেধ থেকে সরে এল শি জিনপিং প্রশাসন। বুধবার চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে করোনার কঠোর বিধিনিষেধগুলো তুলে নেয়ার বিষয়টি জানানো হয়। এতে বলা হয়, এখন থেকে জোর করে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে কাউকে পাঠানো হবে না। বরং যাদের মৃদু উপসর্গ আছে তারা বাড়িতেই আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিতে পারবেন। এ ছাড়া অফিস-আদালত, শপিংমল কিংবা বিনোদনকেন্দ্রে প্রবেশে কোভিড নেগেটিভ সনদ দেখাতে হবে না। চীনা নাগরিকরা দেশের ভেতরে কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবেন। গণপরিবহনে চলতে কিংবা অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলের ক্ষেত্রে এয়ারপোর্টে প্রবেশে আগে করোনার টিকা ও কোভিড নেগেটিভ সনদ দেখাতে হলেও এখন থেকে আর সেসব নিয়মও থাকছে না বলে জানানো হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে স্বস্তি জানিয়েছেন রাজধানী বেইজিংয়ের সাধারণ মানুষ। স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, বেইজিং-এ জীবনযাত্রা অনেকটাই সুরক্ষিত। খাদ্য, পানি ও পণ্যসমগ্রীর কোনো সংকট নেই। এই পরিস্থিতিতেও আমাদের লকডাউন দিয়ে ঘরে আটকে রাখা ছিল চরম বিরক্তিকর। এখন করোনার কঠোর বিধিনিষেধগুলো তুলে নেয়া হয়েছে। আমার মনে হয় মানুষ এখন অনেক সচেতন। বিধিনিষেধ শিথিল হলেও এখনো সবাই বাইরে বের হলেই মাস্ক পরছে। বুধবার চীনে নতুন করে ৪ হাজার ৪০০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ। |