থমথমে নয়াপল্টন, পথে পথে ব্যারিকেড
সময়ের আলো অনলাইন
|
![]() বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সরেজমিনে নয়াপল্টন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নাইটিঙ্গেল ও ফকিরাপুলে কঠোর অবস্থান রয়েছে পুলিশ। সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে দোকানপাট, বিপণীবিতান, অফিস ও ব্যাংক। এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে চলছে তল্লাশি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সমাবেশ ঘিরে যে কোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এ অবস্থান পুলিশের পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত চলবে। এর আগে, গতকাল পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে মকবুল আহমেদ নামে একজন পথচারী নিহত হন। নেতাকর্মী, পুলিশ ও সাংবাদিকসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। সংঘর্ষের পর পুরো নয়াপল্টন এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। দফায় দফায় চলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। বিএনপি নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল ছুড়লে একপর্যায়ে পুলিশ শটগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এরপর কার্যালয়ের মূল গেটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভেতরে ‘সাড়াশি’ অভিযান চালায়। সেখান থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ ও কয়েকজন সিনিয়র নেতাসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। এ সময় অনেককে লাঠিপেটা-ধস্তাধস্তি করে পল্টন এলাকা ছাড়া করা হয়। তবে কার্যালয়ে ঢুকতে না পেরে অভিযানের পুরোটা সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একাই প্রধান ফটকের সামনে বসে থাকেন। সংঘর্ষের ঘটনায় একে অন্যকে দোষারোপ করে বিএনপি-পুলিশ। সরেজমিন দেখা যায়, ১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা এই সংঘর্ষ একসময় নয়াপল্টন ছাপিয়ে বিজয়নগরে চলে যায়। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পানির ট্যাংকির পাশে জড়ো হয়ে আবারও পুলিশের দিকে ঢিল ছুড়তে থাকেন। পুলিশও ধাওয়া দেয়। এ সময় গোটা পল্টন ও কাকরাইল এলাকায় যান চলাচল ও দোকানপাট, বিভিন্ন অফিসের গেট একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। পথচারীরা নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে ওই এলাকা থেকে দ্রুত সটকে পড়েন। এরপর পুলিশ কয়েক দফায় বিএনপির কার্যালয়ের ভেতর থেকে শতাধিক নেতাকর্মীকে ধরে নিয়ে যায়। একের পর এক প্রিজন ভ্যান আসে কার্যালয়ের সামনে। নেতাকর্মীদের টেনে গাড়িতে তোলা হয়। /জেডও
|