প্রকাশ: বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৫৮ পিএম (ভিজিট : ৩৬৫)
নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করে প্রতারণা নতুন কিছু নয়। প্রতারকদের এবারের কৌশল ভিন্ন। ‘হাজী কামাল কেমিক্যাল কোং’ নামে একটি ভূয়া প্রতিষ্ঠান খুলে পণ্য বিক্রি করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। এমনই একটি চক্রের মূল হোতাসহ ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোর। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. জাকির হোসেন (৫০), মো. ফারুক(৩৬), মো. হোসেন (২০), ওবায়দুল হোসেন (৪৬), মো. আলম মোল্লা ওরফে সুশান্ত (৩০), মো. রবিউল আউয়াল (৩৪) ও মো. পারভেজ হোসেন (২৩)। এসময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত পণ্য ও নগদ ৩ লাখ ৫২ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বুধবার যশোর কতোয়ালী থানায় মামলা হয়েছে। প্রতারক চক্রের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পিবিআইয়ের যশোর জেলা পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন।
তিনি জানান, গত ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে গ্রেফতার জাকির ও ফারুক প্রথমে মো. রিয়াদ হোসেন রাকিব নামে এক ব্যবসায়ীর দোকানে গিয়ে নিজেদের ‘হাজী কামাল ক্যামিক্যাল কোং’ ঢাকার লোক পরিচয় দেয়। এরপর তাদের কোম্পানির কিছু পণ্য বিক্রির জন্য রেখে আসে। পরদিন এই চক্রের আরেক সদস্য রবিউল আউয়াল ও ওবায়দুল ক্রেতা সেজে ওই মালামাল রাকিবের দোকান থেকে ক্রয় করে। এরপর প্রতারক জাকির ও ফারুক ফের রাকিবের দোকানে বেশি পরিমান পণ্য রেখে আসে। ওই পণ্যগুলো ফের ক্রয় করে চক্রের অপর সদস্য হোসেন, মো. আলম মোল্লা ওরফে সুশান্ত, পারভেজ ও তাদের আরও কয়েকজন।
এসপি রেশমা শারমিন আরও বলেন, সর্বশেষ চক্রটি রাকিবের দোকানে গিয়ে আড়াই লাখ টাকার পণ্য অর্ডার দেয়। এরপর রাকিব প্রতারকদের কাছ থেকে পণ্যের অর্ডার পাওয়ার পর ২২ ডিসেম্বর চক্রের মূল হোতা ফারুকের কাছ থেকে ২ লাখ ২ হাজার টাকা দিয়ে মালামাল রাখেন। এরপরই হোসেন, মো. আলম মোল্লা ওরফে সুশান্ত, পারভেজ, রবিউল আউয়াল ও ওবায়দুল অর্ডার দেওয়া পণ্য না নেওয়ায় দোকান মালিক রাকির তাদের ফোন দেন। ফোন পেয়ে পণ্য না নিয়ে তালবাহানা শুরু করেন। এরপর ফোন বন্ধ করে লাপাত্তা হয় তারা।
এসপি রেশমা শারমিন বলেন, মূলত ‘হাজী কামাল কেমিক্যাল কোং’ নামে কোনও প্রতিষ্ঠান নেই। তারা ভূয়া প্রতিষ্ঠানের নামে নিজেরাই বিক্রেতা ও ক্রেতা সেজে বিভিন্ন পণ্য দোকানে সরবরাহের নামে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। প্রতারণার এমন ফাঁদে পরে রাকিব পিবিআইকে জানানোর পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চক্রের প্রধানসহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করে তারা ভয়া প্রতিষ্ঠানের নামে যশোরসহ আশপাশের জেলায় নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করে সাধারন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা।