ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

ডেকে নিয়ে ছিনতাই ও হত্যা, মরদেহ ফেলা হয় মেঘনায়
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২, ৭:১৮ পিএম  (ভিজিট : ৩৪৬)
রাজধানীর পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী জুয়েল শিকদার। পুরোনো প্লাস্টিকের পণ্য কিনে রিসাইকেল করে বিক্রি করতেন। আর সেই প্লাস্টিকের পণ্য বিক্রির ফাঁদে ফেলে জুয়েল ও তার কর্মচারী মোর্শেদকে বরিশালে নিয়ে যায় এক অপহরণকারী চক্র। পরে তাদের সঙ্গে থাকা টাকা হাতিয়ে নিয়ে অপহরণকারীরা তাদের হত্যা করে মরদেহ মেঘনা নদীতে ফেলে দেন। ওই অপহরণের ঘটনায় বুধবার রাতে বরিশালের মেন্দীগঞ্জ ও মুলাদী থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নুরুজ্জামান হাওলাদার (৪০), মো. আজিজ শিকদার (৩৪), হাফেজ চৌকিদার (৪৬) দেলোয়ার হোসেন মোল্লা ওরফে দেলু (৩৫)। এসময় তাদের কাছ থেকে অপহরণ কাজে ব্যবহৃত ছয়টি মোবাইলফোন জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জুয়েল ও তার কর্মচারী মোর্শেদকে অপহরণ-হত্যার কথা ‘স্বীকার করেন’।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম)  বিজয় বিপ্লব তালুকদার বলেন, গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে জুয়েল শিকদার নামে এক প্লাস্টিক ব্যবসায়ীর বাবা চকবাজার থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেছিলেন। তার সঙ্গে নিখোঁজ ছিলেন তার কর্মচারী মোর্শেদ আলম। পরে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় তাদের দুজনের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর জুয়েলের বাবা থানায় অপহরণের মামলা করেন। চকবাজার মডেল থানা পুলিশ ওই ঘটনা তদন্ত করে আসছিল। এরই মধ্যে ২০ ডিসেম্বর ভোলার চরফ্যাশন থেকে মোর্শেদের লাশ উদ্ধার করা হয়। সেসময় তার পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় অজ্ঞাত হিসেবে দাফনও করা হয়। দুদিন পর ২২ ডিসেম্বর ভোলার ইলিশা থেকে উদ্ধার করা হয় জুয়েলের মরদেহ।

বিজয় বিপ্লব তালুকদার বলেন, ব্যবসায়ী জুয়েলের মরদেহ শনাক্তের পর তদন্তে নেমে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে চারজনকে গ্রেফতার করে ডিএমপি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জুয়েল ও তার কর্মচারী মোর্শেদকে অপহরণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেন। গ্রেফতারকৃতরা বলেন, জুয়েল সিকদারকে কম দামে প্লাস্টিকের কাচামাল কেনার প্রস্তাব দিলে তার কর্মচারীসহ গত ১৪ ডিসেম্বর বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানার উলানিয়া ঘাটে যায়। সেখানে কথিত ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান, আজিজ ও হাফিজ নামে এক মাঝি একটি ট্রলারে করে তাদের মেঘনা নদীতে নিয়ে যায়। পরে তাদের চোখে মরিচের গুঁড়া লাগিয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে তাদের মোবাইলফোন বন্ধ করে জুয়েলের সঙ্গে থাকা ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় দেলোয়ার। এরপর জুয়েল ও তার কর্মচারী নিস্তেজ হয়ে পড়লে তাদের মরদেহ মেঘনা নদীতে ফেলে পালিয়ে যায় তারা।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, দেলোয়ার প্লাস্টিকের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নন, তবে কৌশলে ব্যবসায়ীদের ডেকে নিয়ে টাকা লুটপাট করে নদীতে ফেলে দিতেন। এ ঘটনায় দেলোয়ার আকন নামে আরেকজন পলাতক রয়েছেন। তাকে ধরতেও পুলিশের অভিযান চলছে।

/এমএইচ/




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close