প্রকাশ: শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২, ৯:৪৪ এএম (ভিজিট : ৪০০১)
ফুটবল মাঠের নিপুণ শিল্পী পেলে কথায়ও ছিলেন জবরদস্ত, বড্ড রসিক! বিভিন্ন সময়ে তার উক্তি যেমন হাস্যরসের খোড়াগ জুগিয়েছে, জন্ম দিয়েছে বিতর্কেরও। সদ্য প্রয়াত ‘ফুটবল জাদুকর’-এর তেমন উক্তি নিয়ে সাজানো হয়েছে এ প্রতিবেদন।
‘মানুষ বিতর্ক করে পেলে ও ম্যারাডোনার মধ্যে কে সেরা। সেরা আসলে ডি স্টেফানো, ফুটবলার হিসেবে অনেক পরিপূর্ণ!’— ২০০৯ সালে ফুটবলে সেরার বিতর্কে সাবেক আর্জেন্টিনা ও রিয়াল মাদ্রিদ কিংবদন্তি আলফ্রেডো ডি স্টেফানোকে সর্বশ্রেষ্ঠ হিসেবে উল্লেখ করেন পেলে।
‘ফুটবল খেলার জন্যই আমার জন্ম। যেমন বিথোভেনের জন্ম সঙ্গীত লেখার জন্য ও মাইকেল এঞ্জেলোর জন্ম হয়েছিল ছবি আঁকার জন্য’— ফিফা ডট কমকে বলেছিলেন পেলে।
‘ফুটবলার হিসেবে বিশ্বের প্রতিটি শিশু পেলে হতে চায়। তাদের শুধু একজন ফুটবলারের মতো নয়, কীভাবে একজন মানুষ হতে হয় তা দেখানোটাও আমার দায়িত্ব’— খ্যাতির অতিরিক্ত বোঝা নিয়ে ১৯৯৯ সালে পেলে স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেডকে বলেছিলেন।
‘ব্রাজিল যখন হেরেছিল তখন মনে হয়েছিল কেউ মারা গেছেন, দেশটি মারা গেছে’— মারাকানায় ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের প্রসঙ্গে ২০১৪ সালে পেলের উক্তি।
‘পেনাল্টি থেকে গোল করা একটি কাপুরুষোচিত উপায়’— ‘দ্য অটোবায়োগ্রাফি’-তে পেলের উক্তি।
‘পৃথিবীতে সবকিছুই একটি খেলা। একটি ক্ষণস্থায়ী জিনিস। আমরা সবাই মৃত। আমরা সবাই একই রকম, তাই না?’— ১৯৭৭ সালে করা পেলের উক্তি।
‘জীবনে আমি হাজারেরও বেশি গোল করেছি। কিন্তু যে গোলটা আমি করতে পারিনি, সেটাই লোকেদের আলোচনার বিষয়বস্তু’— ১৯৭০ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক গর্ডন ব্যাঙ্কসের অসাধারণ সেভ সম্পর্কে পেলে।
‘যা কিছু ভাল তা পেলেই করে। খারাপটা (আমার দেওয়া নাম) এডসন করে’— কেন তিনি নিজেকে পেলে বলে উল্লেখ করেছেন তার বর্নণায় ২০১৪ সালে টাইম ম্যাগাজিনকে সদ্য প্রয়াত সাবেক তারকা।
‘পেলে মরে না। পেলে কখনোই মরবে না। পেলে চিরজীবি থেকে যাবে। কিন্তু এডসন একজন সাধারণ মানুষ, যে একদিন মারা যাবে। আর মানুষ তাকে ভুলে যাবে’— ফুটবলের অমরত্ব ও মানব মৃত্যুর বিষয়ে দ্য গার্ডিয়ানকে ২০০৩ সালে বলছিলেন পেলে।