প্রকাশ: শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২, ৪:১৯ পিএম আপডেট: ৩০.১২.২০২২ ৫:১৫ পিএম (ভিজিট : ৫০৫)
ঢাকায় বিএনপিসহ কয়েকটি সরকারবিরোধী দল ও জোটের গণমিছিলের কর্মসূচি ঘিরে শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘সতর্ক পাহারা’ বসিয়েছে ছাত্রলীগ। সংগঠনটির দাবি, দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে শিক্ষার্থীরা শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন এ পাহারাকে ‘গণতন্ত্রের বিজয় উদযাপন’ এবং ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস-নৈরাজ্য-দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের’ প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি বলছে।
আজ দুপুরে জুমার নামাজের পরই জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান। পরে এ নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগ দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইডেন কলেজসহ বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর গণমিছিল আজ। জুমার নামাজের পরে রাজধানীর নয়াপল্টন থেকে মগবাজার মোড় পর্যন্ত গণমিছিল করবে বিএনপি।
শাহবাগে ছাত্রলীগের অবস্থানের বিষয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, গণতন্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে দেশে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। এই অগ্রযাত্রাকে নস্যাৎ করার পাঁয়তারা করছে বিএনপি-জামায়াত। তাদের মোকাবিলা করার বিষয়টিকে ছাত্রসমাজ নৈতিক দায়বদ্ধতা বলে মনে করে। সেই জায়গা থেকে দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখা, নিজেদের ভবিষ্যৎকে নিরাপদ রাখার স্বার্থে ছাত্রসমাজ অপশক্তিকে প্রতিরোধের জন্য সতর্ক অবস্থান নিয়েছে।
সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন উন্নয়নের মডেলে পরিণত হয়ে উন্নত দেশ হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনই দেশে-বিদেশে আবার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। পঁচাত্তরের ঘাতকদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সেই বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে এদেশকে আবারও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দিনে ঢাকা শহরে নৈরাজ্যের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বিএনপি। গণমিছিলের নামে যদি গণ হয়রানির চেষ্টা করা হয় তাহলে এর দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে।