প্রকাশ: শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৩:৫০ এএম (ভিজিট : ২৭০)
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন সোহেল মিয়া (৩৫) নামে এক ব্যক্তি। সোহেলের মরদেহটি যখন পাওয়া যায় তখন তার বাম হাতের কব্জি কাটা ছিল, চোখ উপড়ানো ছিল এবং শরীরের বহু জায়গায় কোপের চিহ্ন ছিল।
এর আগে গত বুধবার দুপুরে পূর্বাচল উপশহরের ৭ নম্বর সেক্টরের ২১৯ নম্বর রোডের ৪ নম্বর প্লটের সামনে ড্রেন থেকে ওই যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ। পরে তার পরিচয় শনাক্ত হয়।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত সোহেল মিয়ার ভাই জামাল মিয়া বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় নিহত সোহেলের সম্বন্ধী নবী হোসেন ও নবী হোসেনের বন্ধু আলামিনকে আসামি করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নুরুন্নবী নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত ) আতাউর রহমান।
মামলার বাদী জামাল মিয়া জানান, গত প্রায় পাঁচ বছর আগে তার ভাই সোহেল মিয়া রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী এলাকার শহিদুল্লাহর মেয়ে সাইদাকে বিয়ে করেন। বর্তমানে কর্মজীবনের তাগিদে সাহিদা বিদেশে রয়েছেন। আর সোহেল মিয়া নোয়াপাড়া এলাকার দায়েন মিয়ার বাড়িতে ভাড়া বাসায় বসবাস করে স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি করে আসছিলেন।
গত ২২ ডিসেম্বর থেকে সোহেল মিয়া নিখোঁজ হন। ২৩ ডিসেম্বর বাড়িতে না ফিরে আসায় নিখোঁজের বিষয়টি পরিবারের লোকজন নিশ্চিত হন। এরপর গত ২৮ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে পূর্বাচল উপশহরের ৭ নম্বর সেক্টর এলাকা থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ সেখানে গিয়ে লাশটি তার ভাই সোহেলের লাশ বলে শনাক্ত করে। লাশের বাম হাতের কব্জি কাটা, আঙুল কাটা ও চোখ উপড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়।
তার অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই ভাই সোহেলের সঙ্গে পাওনা টাকা নিয়ে সম্বন্ধী নবী হোসেন, নবী হোসেনের বন্ধু ও আলামিনের বিরোধ চলে আসছিল। আর ওই বিরোধের জের ধরেই আসামিরা সোহেল মিয়াকে বাম হাতের কব্জি কেটে, আঙুল কেটে, কুপিয়ে ও চোখ উপড়ে ফেলে হত্যার পর গুম করার উদ্দেশ্যে ওই স্থানে লাশ ফেলে রাখে।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম শায়েদ বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নুরুন্নবী নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।