প্রকাশ: শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২, ১০:৩৩ পিএম (ভিজিট : ৪৩৬)
জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগের পর এবার বিএনপির পদও ছাড়লেন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। তিনি বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার ছেলে মাঈনুল হাসান ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার মুঠোফোনে কল করা হলে ফোন ধরেন তার ছেলে মাঈনুল হাসান ভূঁইয়া।
তিনি সময়ের আলোকে বলেন, জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগের বিষয়ে তার (আবদুস সাত্তার) সঙ্গে বিএনপির কেউ কোনো আলোচনা করেনি। তারপরও দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এ ছাড়া এলাকার দলীয় কোনো বিষয়েও তার সঙ্গে আলোচনা করা হয় না। গত ২ বছর ধরে বিএনপির হাইকমান্ড তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করে না।
তিনি বলেন, বাবা মনে করেন, দলে এখন আর তার কোনো প্রয়োজন নেই, দলও হয়তো মনে করে তার প্রয়োজন নেই। এই মনোভাব থেকেই বাবা গত বৃহস্পতিবার পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, ঘরে বাইরে চাপ সামলাতেই দলীয় পদ ছেড়েছেন তিনি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। ১১ ডিসেম্বর তিনি জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এই শূন্য আসনে উপনির্বাচন হবে।
আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দলটির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। একবার টেকনোক্র্যাট হিসেবে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ১৯৭৯ সালে প্রথম তৎকালীন কুমিল্লা-১ (নাসিরনগর ও সরাইলের একাংশ) ও বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। ওই সময়ে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি ছিলেন। দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। এরপর ১৯৯১ সালে এবং ১৯৯৬ সালের দুটি সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০১ সালের নির্বাচনে চারদলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ইসলামী ঐক্যজোটের তৎকালীন মহাসচিব মুফতি ফজলুল হক আমিনীকে আসনটি ছেড়ে দেন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। ওই সময়ে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার গঠন করলে তাকে টেকনোক্র্যাট প্রতিমন্ত্রী করা হয়।
২০১৮ সালের নির্বাচনে আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী হন। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তে ১১ ডিসেম্বর সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। তার ছেড়ে দেওয়া আসনে উপনির্বাচনের প্রক্রিয়া চলছে।