বাতিল হওয়ার প্রায় সাত দশক পর ম্যাককার্থিবাদ আবার ফিরে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রে, এবার আরও বড় এজেন্ডা নিয়ে। প্রথম শীতলযুদ্ধ চলাকালে রিপাবলিকান রাজনীতিবিদ জোসেফ ম্যাককার্থির ‘বিশ্বোসঘাতক কমীদের’ উৎখাত করার এই নীতি গ্রাস করেছিল গোটা আমেরিকাকে। ১৯৫০-এর দশকের শুরুর দিকে এ সিনেটর ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে কথিত রাশিয়া-প্রভাবিত কমিউনিস্ট অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে আমেরিকার নতুন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক যুদ্ধের অগ্রসৈনিক। তার এ নীতি আজও আমেরিকাকে শঙ্কিত করে রেখেছে।
বর্তমানে আরেকটি শীতল যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে এসে আমেরিকা প্রকৃত এবং কথিত সমাজতন্ত্রপন্থি কর্মকর্তা এবং ইনফ্লুয়েন্সারদের মুছে ফেলার জন্য আরেক ম্যাককার্থিকে খুঁজে পেয়েছে। ইউক্রেনে যুদ্ধ চালাতে গিয়ে রাশিয়া দুর্বল হয়ে পড়ায় আমেরিকার লক্ষ্য এবার চীন। ৭ জানুয়ারি প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই কেভিন ম্যাককার্থি ছিলেন আমেরিকার ক্রমবর্ধমান চীনবিরোধী গোষ্ঠীর অন্যতম সদস্য।
বিভিন্ন কারণে জোসেফের ম্যাককার্থিবাদের তুলনায় কেভিনের ম্যাককার্থিবাদ আমেরিকার সমাজ ও রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে অনেক বেশি প্রভাবিত করবে।
১. কেভিন তার চীনবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছেন আমেরিকার তৃতীয় শক্তিশালী রাজনীতিবিদের আসনে থেকে। ক্ষমতাবলে প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের পরই তার অবস্থান। সেই তুলনায় জোসেফের অবস্থান ছিল আরও নিচে, আরও দুর্বল। তিনি ছিলেন নিতান্তই এক সাধারণ সিনেটর, যিনি কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে ভয় ছড়ানোকে পুনরায় ক্ষমতায় আসার কৌশল হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন।
২. কেভিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শিষ্য, এবং ট্রাম্পই আমেরিকার জনমতকে চীনের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছিলেন। কেভিন উত্তরাধিকারসূত্রে একটি শক্তিশালী চীনবিরোধী আন্দোলন পেয়েছেন, আমেরিকার রাজনৈতিক বিভাজন ছাপিয়ে যে আন্দোলনের ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। অন্যদিকে জোসেফকে তার নিজের আন্দোলনের ভার নিজেই বইতে হয়েছে।
৩. ৪২ বছর বয়সি জোসেফকে উইস্কন্সিন প্রদেশে নিজের ক্ষুদ্র সমর্থকগোষ্ঠীর ওপর দাঁড়িয়ে জাতীয় স্বীকৃতির জন্য সংগ্রাম করতে হয়েছিল। সেই তুলনায় ৪৮ বছর বয়সি কেভিন অনেক বেশি অভিজ্ঞ এবং তার যোগাযোগও অনেক ভালো।
৪. অধিকাংশ আমেরিকানই আজ চীনকে ভয় পায়। অনেকেই বিশ্বোস করে, চীনের দালালরা ইতিমধ্যেই আমেরিকার রাজনৈতিক, একাডেমিক, বৈজ্ঞানিক, অর্থনৈতিক এবং নাগরিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনুপ্রবেশ করেছে। ১৯৫০-এর দশকে আমেরিকানদের মধ্যে এমন ভীতি অনেক কম ছিল, কারণ তখন আমেরিকাই ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিধর রাষ্ট্র। জোসেফের অদ্ভুত অভিযোগে আমেরিকার কথিত শত্রুনিধন অভিযান আমেরিকানদের শঙ্কিত করেছিল।
৫. পশ্চিমা বিশ্বের নতুন প্রজন্মের চীন বিশেষজ্ঞ এবং চাইনিজ ভাষায় দক্ষ বিশ্লেষক এবং সাংবাদিকদের একটি বড় অংশ বেইজিং এবং চীনের কমিউনিস্ট পার্টিকে (সিসিপি) বিশ্বোস করেন না। এ পরিস্থিতি ১৯৫০-এর দশকের বিপরীত। সে সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বুদ্ধিজীবী শ্রেণি চীনকে ভালো চোখে দেখতেন এবং ম্যাককার্থির ভয় ছড়ানোর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। বর্তমানে যে বুদ্ধিজীবী শ্রেণি আমেরিকার নীতি এবং জনমত গঠনে ভূমিকা রাখেন, তারাই চীনের প্রভাব ঠেকানোর মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
৬. এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বাজে রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত হতে কেভিন ম্যাককার্থিকে ১৫ দফা ভোট পেরিয়ে আসতে হয়েছে, যার ফলে রিপাবলিকান পার্টির অভ্যন্তরীণ বিভাজন স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। গোপন নথি এবং ছেলের ব্যবসায়িক লেনদেন-সংক্রান্ত তথ্য ফাঁস হওয়াতে প্রেসিডেন্ট জোসেফ বাইডেনকে একাধিক কেলেঙ্কারির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। ৬ জানুয়ারি ২০২১-এর ক্যাপিটল হিলের হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন ট্রাম্প। এ অবস্থায় চীন এবং রাশিয়ার গল্প জনগণের মনোযোগ অন্যদিকে ফেরানোর সবচেয়ে ভালো উপায়।
৭. শি জিনপিং একজন বড় প্রভাবক। বেইজিংয়ের ভূমিকা ছাড়া আমেরিকা-চীনের সম্পর্কের এত দ্রুত অবনতি সম্ভব হতো না। শিয়ের ক্ষমতায় থাকার এক দশকে চীনের প্রতি পশ্চিমা বিশ্বের আস্থা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে। চীনের কোভিড প্রাদুর্ভাব এবং নিয়ন্ত্রণ নীতি, সম্প্রসারণবাদী পররাষ্ট্রনীতি, সামরিক গঠন এবং নেকড়েযোদ্ধা কূটনীতিতে শি সরকারের ভূমিকা ভারত, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। চীন সরকার অবশেষে হয়তো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তলানিতে থাকা সম্পর্কের বিপদ বুঝতে পারছে।
গত ২ জানুয়ারি চীনের সদ্যনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিন গাং টুইট করে জানান, তিনি ‘চীন-আমেরিকা সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন’ এবং ‘দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে আলোচনা, পারস্পারিক সমঝোতা এবং সৌহার্দকে উৎসাহিত করবেন।’ একই সঙ্গে তিনি আমেরিকায় চীনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ‘নিজের দেখা পরিশ্রমী, বন্ধুত্বপূর্ণ এবং প্রতিভাবান আমেরিকানদের’ ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি সেখানেই থেমে থাকেননি বরং চীনের নেকড়েযোদ্ধা কূটনীতির প্রধান মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ানকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। ঝাওকে তুলনামূলক অখ্যাত সীমানা ও সাগর বিভাগের উপপ্রধানের অবস্থানে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের বিরুদ্ধে বেইজিংয়ের সমালোচনার পদক্ষেপই সম্ভবত সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একাধিক চীনা কর্মকর্তা প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ‘পাগল’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। এ ধারা বজায় থাকলে ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে চীনের অবস্থান বদলে যেতে পারে। এখনও পর্যন্ত বেইজিং আনুষ্ঠানিকভাবে পুতিনকে নিন্দা জানায়নি, যদিও তারা মস্কোকে নামমাত্র সমর্থন দিয়ে চলেছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই নরম সুর এক বছর আগে ছিনের উত্তপ্ত বক্তব্যের সম্পূর্ণ বিপরীত। রেডিওতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি তখন তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে ‘সামরিক সংঘাতের’ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে দেশের ভেতর তথ্যপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে চীন সরকারের নজরদারি প্রযুক্তি এবং ইন্টারনেট সেন্সরশিপের ব্যবহার এবং শিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুর নির্যাতনকে ন্যায্যতা দিয়েছিলেন।
শি জিনপিংয়ের অত্যন্ত বিশ্বেস্ত প্রতিনিধি হওয়াতে ছিন দীর্ঘদিন ধরেই আরও উচ্চপদের দাবিদার হিসেবে বিবেচিত। ৫৬ বছর বয়সি এ কূটনীতিবিদ মাত্র ১৭ মাসের জন্য ওয়াশিংটনে রাষ্ট্রদূতের ভূমিকা পালন করেছেন; কিন্তু মূলধারার আমেরিকায় ক্রমবর্ধমান চীনবিরোধী মনোভাব পর্যবেক্ষণ করতে তার জন্য এটুকুই যথেষ্ট ছিল।
কিন্তু চীনের এই সুরবদল কি পশ্চিমের সঙ্গে তার সম্পর্কের পচন ঠেকাতে পারবে? অবস্থা সুবিধার নয়, কারণ গত কয়েক বছরে উভয় পক্ষই নানা বিবাদে ব্যাপক শক্তিক্ষয় করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে এবং বিশ্বে বিচ্ছিন্নভাবে বসবাসরত চীনা গোষ্ঠীগুলোর জন্য ম্যাককার্থিবাদের পুনরুত্থান অত্যন্ত আশঙ্কাজনক, কারণ এর ফলে সবাই তাদের সন্দেহের চোখে দেখতে শুরু করবে। কিন্তু এবার আর ম্যাককার্থিবাদের বিরোধিতা আমেরিকানদের কাছ থেকে বিশেষ সমর্থন পাবে না।
কেভিন কেবল সিপিসিকে নিশানা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজস্ব ম্যাককার্থিবাদকে সীমিত রাখার চেষ্টা করেছেন। ডিসেম্বরে তিনি রিপাবলিকানদের চীনবিষয়ক হাউস সিলেক্ট কমিটি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। ১০ জানুয়ারি ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান উভয় দলের সিনেটররাই বিপুলভাবে এ কমিটি গঠনের পক্ষে ভোট দেন। সাবেক কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স কর্মকর্তা মাইকেল গ্যালাগারের নেতৃত্বে এ কমিটি ‘স্মরণকালের সবচেয়ে বড় ভূ-রাজনৈতিক হুমকি’ মোকাবিলা করতে সরকারজুড়ে মার্কিন প্রচেষ্টার সমন্বয় ও পরিচালনা করবে। রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন চীন টাস্কফোর্সের প্রচেষ্টার ওপর ভিত্তি করে এ কমিটি নিশ্চিত করবে, সিপিসির ছুড়ে দেওয়া ‘অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে আমেরিকা প্রস্তুত।’
ফক্স নিউজে যৌথভাবে লেখা এক কলামে ম্যাককার্থি এবং গ্যালাগার শি জিনপিংকে আমেরিকার প্রধান শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তারা অভিযোগ তুলেছেন, চীনের নেতা ‘আমেরিকার অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক নেতৃত্ব এবং প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের জন্য আক্রমণাত্মক এজেন্ডা অনুসরণ করছেন।’ অবশ্য তারা এও বলেছেন, তাদের কমিটি চীনে সরকারি অত্যাচারের শিকার হওয়া সাধারণ জনগণের পাশে দাঁড়াবে এবং তারা চীনের অত্যাচারিত জনগণকে তাদের অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠী থেকে আলাদা করে দেখতে জানেন। এ বক্তব্যের মাধ্যমেই বোঝা যায়, তাদের চীনবিরোধী প্রচারণার ফলে একটি গোটা জনগোষ্ঠীর ওপর যে সন্দেহের ছায়া নেমে আসবে, সে সম্পর্কে তারা অবগত। ২০২১ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, চীনা এবং এশিয়ান নামধারী ব্যক্তিদের পশ্চিমা আসামিদের তুলনায় বেশি হারে গ্রেফতার ও শাস্তির সম্মুখীন হতে হয়েছে।
এ অবস্থায় প্রবাসী চীনাদের নিজেদের ভাগ্যের দায়িত্ব নিজেদেরই নিতে হবে, যার শুরু করতে হবে চারটি পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে :
প্রথমত, চীনসংক্রান্ত যেকোনো বিতর্ক এবং নীতিতে তাদের আরও বড় ভূমিকা নিতে হবে। চীন নীতিসংক্রান্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিতর্কগুলো প্রায়শই নিরাপত্তা এবং সামরিক পেশাদারদের দ্বারা পরিচালিত হয়, যাদের এজেন্ডা ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘুদের নাগরিক স্বাধীনতা এবং অধিকার বিবেচনা নাও করতে পারে।
দ্বিতীয়ত, বিভিন্ন চীনাপ্রবাসী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অবশ্যই পারস্পারিক যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। বেইজিংপন্থি এবং বিরোধী দলগুলোর নিয়মিত ভিত্তিতে চীন সম্পর্কে নিজ নিজ অবস্থান এবং দ্বিমত স্পষ্ট করার সময় এসেছে। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো- পশ্চিমে মতপ্রকাশ ও সমাবেশের স্বাধীনতা থাকা সত্ত্বেও উভয় পক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে একে অপরের সঙ্গে আলোচনা এড়িয়ে যায়।
তৃতীয়ত, জাতিগত চীনা অভিবাসীদের স্পষ্টভাবে জানতে হবে, কেন তারা নিজের দেশ ছেড়ে অন্য দেশে বসতি স্থাপন করেছে এবং নাগরিক হিসেবে তাদের অধিকার ও কর্তব্য কী। প্রবাসী চীনাদের মধ্যে অনেকেই একে একটি বর্ণবাদী প্রশ্ন বলে মনে করেন। তাদের এ ধারণা ভুল নয়, কিন্তু চীন-আমেরিকা দ্বন্দ্ব যত বাড়বে, তাদের আনুগত্য তত বেশি প্রশ্নবিদ্ধ হবে। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে যারা লড়াই করছেন, তাদের উচিত অন্য কেউ এই প্রশ্ন তোলার আগে নিজেরাই প্রশ্নটির মুখোমুখি হওয়া।
চতুর্থত, সংবাদমাধ্যমে প্রবাসী চীনাদের কীভাবে রূপায়িত করা হচ্ছে, সে বিষয়ে তাদের আর সতর্ক হতে হবে। কানাডার মূলধারার সংবাদমাধ্যম ইতমধ্যেই মানুষের চোখে চীনাদের অপরাধী এবং নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সফল হয়েছে। ম্যাককার্থিবাদ নতুন রূপে ফিরে আসছে। প্রবাসী চীনাদের বুঝতে হবে, এখন আর কেবল ‘বর্ণবাদ’ আর ‘মানবাধিকার’ নিয়ে হইচই করে কোনো কাজ হবে না। তাদের নিজেদের স্বার্থ নিজেদেরই দেখতে হবে। চীনের বাইরের বিশ্বে নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা অর্জনের মাধ্যমেই কেবল তা সম্ভব।
লেখক : বর্ষীয়ান প্রতিবেদক এবং ভ্যাঙ্কুভারভিত্তিক ধারাভাষ্যকার। এশিয়া টাইমসে প্রকাশিত এ লেখাটি সময়ের আলোর জন্য অনুবাদ করেছেন রূপম আদিত্য