বেরিয়ে এলো জামালপুরে চিনিকল বন্ধের কারণ
দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
|
![]() সরেজমিনে দেখা গেছে, আখের অভাবে মিলটি বন্ধ হলেও উপজেলার শত শত একর জমিতে এখনো আখ দৃশ্যমান। আখ চাষিরা আখ চিনিকলের বদলে স্থানীয়ভাবে গুড় তৈরির কাজে সরবরাহ করছেন বলে দাবি মিল কর্তৃপক্ষের। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ায় প্রতি বছরের মতো এবছরও লোকসান গুনতে হবে জানান তিনি। মিলের মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, যে পরিমাণ আখ এখনো মাঠে রয়েছে, সেগুলো মিলে সরবরাহ করা হলে আরও ১০ দিন বেশি আখ মাড়াই করা যেত। অন্যদিকে চাষিরা বলেছেন, চিনিকলের চেয়ে গুড় তৈরির কারখানায় আখ বিক্রি করলে তাঁদের লাভ হয় দ্বিগুণ। এ ছাড়া অনেক জটিলতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় বলে তাঁরা চিনিকলে আখ বিক্রিতে আগ্রহী নন। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পাররামরামপুর ইউনিয়নের আখ চাষিরা অভিযোগ করে বলেন, ৪০ মণ আখ গুড়ের জন্য বিক্রি করলে তারা ১১ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা পান। আর সুগার মিলে এই পরিমাণ আখ বিক্রি করে পাওয়া যায় সর্বোচ্চ সাত হাজার টাকা। এর মধ্যে আবার গাড়িভাড়া খরচ হয়। তাদের আরও অভিযোগ, মিলে আখ দিয়ে টাকার জন্য বসে থাকতে হয়। অন্যদিকে গুড় উৎপাদনকারীরা দ্বিগুণ মূল্যে অগ্রিম টাকা দিয়ে আখ কিনে নেন, আখের ওজনেও তারা লাভবান হন। জিল বাংলা সুগার মিল সূত্রে জানা গেছে, গত ২ ডিসেম্বর এই মৌসুমের আখমাড়াই শুরু হয়। ৬৮ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে এবার ৪ হাজার ৭৬০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, এই মৌসুমে ৬০ দিন আখমাড়াইয়ের কথা ছিল। কিন্তু ৪১ দিন আখমাড়াইয়ের পর ১২ জানুয়ারি তা বন্ধ হয়ে যায়। ৪১ দিনে ৩৫ হাজার ১৭১ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে চিনি উৎপাদন করা হয়েছে ২ হাজার ৩২২ মেট্রিক টন। আখ সংকটের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই মিলটি বন্ধ করতে হয়েছে। জিল বাংলা সুগার মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাব্বিক হাসান বলেন, অনেক চাষি দাবি করেছেন আখের মূল্য বৃদ্ধির। আমরা দামের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি, এ নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
|