ই-পেপার বিজ্ঞাপনের তালিকা  বুধবার ৩১ মে ২০২৩ ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
ই-পেপার  বুধবার ৩১ মে ২০২৩
https://www.shomoyeralo.com/ad/Amin Mohammad City (Online AD).jpg

https://www.shomoyeralo.com/ad/780-90.jpg
বইমেলা নিয়ে যত প্রশ্ন
আনিসুর রহমান
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০২৩, ৯:০৬ এএম | অনলাইন সংস্করণ  Count : 160

সপ্তাহ দুই আগে শেষ হয়ে গেল আমাদের একুশে বইমেলা। মেলা ভাঙলেও, ভাঙে না মেল, থাকে রেশ। সেই সঙ্গে যোগ থাকে প্রশ্নও। আমাদের বইমেলার মেল, রেশ আর প্রশ্ন নিয়েই এই লেখার অবতারণা।

একটি আধুনিক বইমেলা হচ্ছে একটি জাতির চিন্তার ইতিহাসের অতীত ও সমসাময়িক মিলিয়ে সামগ্রিক এক প্রদর্শনী। যেখানে বহু পথ ও মতের সমাবেশ থাকবে। লেখক প্রকাশকের পাশাপাশি ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষরা যেমন সংলাপে অংশ নিবেন, তেমনি বিবিধ পেশার মানুষরাও তাদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ধারণার বিবর্তন ও অগ্রগতি তুলে ধরবেন। এখানে জ্ঞানবিজ্ঞানের রকমারি বিষয় নিয়ে বহুমাত্রিক প্রদর্শনী হবে। বইমেলা কার্যত ধারণা, জ্ঞান ও সংস্কৃতির মেলা।

এখানে ধর্মের নানা বিষয় নিয়েও আলোচনা হতে পারে। আলোচনা হতে পারে অধর্মের নানা ফাঁকফোকর নিয়েও। আলোচনা হবে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে যেমন, তেমনি আলোচনা হবে যাপিত সময়ের সমাজ, সংস্কৃতি ও জাতীয় সমস্যা নিয়েও। আধুনিক কিছু বইমেলায় কেবল ধর্মীয় বিষয় আলোচনা ও বিতর্ক করার জন্য আলাদা মঞ্চ থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যখন ধর্মতত্ত্ব আলাদা একটি বিষয় সেখানে আমাদের মাসব্যাপী একটি বইমেলায় এর একটা প্রতিফলন থাকলে মন্দ কী?

বইমেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের মঞ্চে পেছনের পর্দায় জাতির পিতা এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি প্রদর্শনের পরিবর্তে কেবল ‘বঙ্গবন্ধু মঞ্চ’ নামেই স্বাধীন স্বতন্ত্র একটু মঞ্চ করে সেখানে বঙ্গবন্ধু বিষয়ে মাসব্যাপী সভা-সেমিনার আলোচনার আয়োজন করা যায় নাকি? বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বইয়ের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়ে গেছে, ধারণা করতে পারি। এ বিষয়টি তাৎপর্যের সঙ্গে তুলে ধরা যায়। বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ বইমেলার জন্য নিয়মিত সংযোজন হতে পারে।

আধুনিক কিছু বইমেলায় মূলধারার গণমাধ্যমগুলো নিজস্ব মঞ্চ থাকে। তাতে সংলাপ, আলোচনা ও বিতর্ক আয়োজন করার জন্য লেখকরা যেমন অংশ নেন, সেই সঙ্গে সাংবাদিক ও অন্যান্য পেশার মানুষরাও অংশ নেন প্রাসঙ্গিক বিষয়ে। বিজ্ঞান সমাজ ও সংস্কৃতির নানা বিষয়েও বিবিধ রকম সেমিনার ও আলোচনা হতে পারে। এবারের বইমেলার অনুষ্ঠাসূচি কেমন কেমন যেন। একই অধিবেশনে একজন সভাপতি, দুটি প্রবন্ধ, চারজন আলোচক। শেষে এমনটা হয়েছে কোনো কোনোদিন সেমিনারের আগা মাথা উদ্ধার করা যায় নি। 

এখানে বলে নিই, একাডেমি প্রাঙ্গণে বড় মঞ্চটি কোনো ভাবেই সেমিনার বা কোনো প্রবন্ধ পড়া বা তার ওপর আলোচনা করার জন্যে উপযুক্ত স্থান নয়। এসব নিয়ে আয়োজকদের ভাবার দরকার আছে। সেমিনারের জন্য একটি নয়, ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের জন্যে অনেক মঞ্চ হতে পারে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ থেকে শুরু করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানজুড়ে। এমনকি ছোটবড় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোও নিজ নিজ মঞ্চ স্থাপন করতে পারে তাদের প্যাভিলিয়নে বা প্যাভিলিয়নের পাশে। তাতে তাদের নিজস্ব লেখকদের সঙ্গে সংলাপ ও সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা করতে পারে।

অনুবাদের জন্যও আলাদা মঞ্চ হতে পারে। শিশু কর্নার আকর্ষণীয় ও আরও কার্যকর করা যায়। এ কর্নারটি শিশু একাডেমিকে ছেড়ে দেওয়া যায়, ব্যবস্থাপনার জন্য। সব দায়ভার বাংলা একাডেমির নেওয়ার দরকারটা কী? এই বইমেলার সঙ্গে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের সম্পৃক্ততা থাকলে সংগত হয় নাকি? থাকতে পারে অঞ্চলভিত্তিক কর্নার এবং মঞ্চ যেমন- চট্টগ্রাম মঞ্চ, রাজশাহী মঞ্চ এ রকম। থাকতে পারে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কর্নার বা মঞ্চও।

বইমেলা কেবল বই কেনাবেচার মেলা নয়। একটা বই তো আমরা নানাভাবে কিনতেই পারি বা সংগ্রহ করতেই পারি। কিন্তু আলাদা করে মেলার তাৎপর্য কী? আধুনিক মেলার তাৎপর্য ব্যাপক। এখানে প্রকাশিত বইয়ের উদযাপনের পাশাপাশি অপ্রকাশিত বা প্রকাশিতব্য বইয়ের ভাগ্য নির্ধারণ হয় বইমেলাতে অনেক সময়। লেখকের সঙ্গে প্রকাশকের বা প্রতিনিধির বোঝাপড়া এমনকি চুক্তিও হয়ে থাকে। তারপর সাহিত্যের ভাবের আদান-প্রদানের একটা সুযোগ অবারিত হয়। 

এই পর্যায়ে এবারকার বইমেলা থেকেই একটা উদাহরণ দিতে চাই। শিশু কর্নারে আদিগন্ত প্রকাশনীর স্টলের সামনে কবি সুজন বড়ুয়া সম্পাদিত শিশুসাহিত্যের কাগজ ‘শিশুসাহিত্য সারথি’র চলতি সংখ্যার প্রকাশনা অনুষ্ঠান হয়েছিল পত্রিকাটির সম্পাদনা পরিষদ আর লেখকগোষ্ঠীর সমন্বয়ে। এই আয়োজনে আমি কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলাম। তবে এই অনুষ্ঠানে বেশকিছু গুরুত্বপর্ণ লেখক কথা বলেছিলেন, তাদের মধ্যে আমীরুল ইসলাম, শরীফ খান, বিলু কবীর, আহমেদ জসিম, জাকির হোসেন কামাল, ইমরান পরশ, মামুন সরওয়ার, নাফে নজরুল, রশীদ এনাম, বোরহান মাসুদ, লিয়ন আজাদ, শিবুকান্তি দাশ, মালেক মাহমুদ, মুরাদ চৌধুরী, প্রকাশক মোশতাক রায়হান এবং সুজন বড়ুয়া অন্যতম।

সবাই লেখালেখি ও বিশেষ করে ছোটদের লেখালেখি নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ কথা বলেছেন। এর মধ্যে আমীরুল ইসলামের একটি পর্যবেক্ষণ মনে রাখার দরকার আছে। তিনি বলেছেন, সেলিব্রিটি বা ‘যশস্বী ব্যক্তি’ হয়ে আখেরে পাত্তা নাই, যদি তার ‘লেখা’ লেখা হয়ে না ওঠে। আর ‘লেখা’ লেখা হয়ে ওঠার জন্য দরকার ব্যাপক প্রস্তুতি আর বিরামহীন লেগে থাকা। লেখক হওয়ার জন্য ফাঁকিঝুঁকির কোনো সুযোগ নেই। 

লেখালেখিতে জনপ্রিয়তারও ভাত নাই আখেরে। দুয়েকটা ব্যতিক্রম, সব দেশেই কালে কালে থাকে। জনপ্রিয়তার জোয়ারে সময়ে কেউবা ফুলেফেঁপে উঠতে পারে, সময়ে সেই তারাই বেলুন ফুটো হয়ে এক্কেবারে ধুলোয় মিশে যান। এ রকম উদাহরণ প্রায় দেশেই আছে। জীবন ও সত্যের প্রতি দায়বদ্ধ থাকলে খুব কম লিখে বা কম বলেও শত বছর, হাজার বছর প্রাসঙ্গিক থাকা যায়। এ রকম উদাহরণ সক্রেটিস যেমন, তেমনি আমাদের লালন ফকির, হাছন রাজা, আরজ আলী মাতুব্বরের মতো বিরলপ্রজ মানুষরা।

আমাদের দেশে বইমেলা নিয়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া চূড়ান্ত রকম আনাড়ি। সাংবাদিকতার মেধাবী তরুণরা মনে হয় খেলাধুলা বিষয়ক অথবা অর্থনৈতিক বিষয়ক বা কূটনৈতিক সাংবাদিকতাকে অগ্রাধিকারের জায়গায় রাখে। এই ধারণা ঝালাই করে নেওয়ার জন্য খেলাধুলার পাতার লেখার মানের সঙ্গে দেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতি পাতাগুলোর লেখার মান একটু তুলনা করে নেওয়া যেতে পারে।

বইমেলা নিয়ে তেমন কোনো বিশ্লেষণী লেখাজোখা বা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন চোখে পড়ে না। বেশিরভাগও প্রতিবেদন আমাদের দেশে প্রচলিত ‘গরুর রচনা’ চর্চার মতো। বইমেলা নিয়ে অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে কিছু চমৎকার প্রতিবেদন হতে পারে। তারপর প্রকাশনা জগৎ নিয়ে অসমর্থিত সূত্র থেকে যেসব কথাবার্তা চালু আছে সেসব নিয়েও প্রতিবেদন ছাপা যায়। 

অর্থনীতি বিষয়ক বই, খেলাধুলা বিষয়ক বই, প্রাণ পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক বইগুলো নিয়ে বিষয়ভিত্তিক বিশেষায়িত প্রতিবেদক কর্তৃক লেখাজোখা ছাপানোর উদ্যোগ থাকলে আমাদের প্রকাশনা জগৎ ও বইমেলার বিকাশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে বই নিয়ে কার্যকর লেখালেখির জন্যে মূল ধারার গণমাধ্যমগুলোর কোনো বিনিয়োগ বা উদ্যোগ কোনোটাই আছে কি না আমার সন্দেহ রয়েছে।

এ অবস্থায় গণমাধ্যমের কর্তাদের উদ্দেশে কয়েকটি প্রশ্ন তুলে ধরতে চাই, যা প্রয়োজনে তারা খতিয়ে দেখতে পারেন : ১. দেশে শত শত বই প্রকাশ করে প্রকাশকরা লগ্নি ওঠায় কেমনে? ২. সারা বছর বই বিক্রি না হলে বই ছাপায় কেন? ৩. প্রকাশনা জগৎ কোনো কোনো ক্ষেত্রে কালো টাকা সাদা করার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয় কি না? কিংবা বই প্রকাশ, বই আমদানি বা রফতানির আড়ালে টাকা পাচারের কোনো ফন্দি কাজ করে কি না? ৪. বই কেনা ও বিতরণ নিয়ে অনেক সময় নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা শোনা যায় বেশিরভাগ সময় অসমর্থিত সূত্র থেকে। এসব নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের এখনই তো সময়। ৫. অসমর্থিত সূত্রে শোনা যায়, অনেক সময় বিদেশে বসবাসকারী ‘অলেখক’ শ্রেণির কাউকে লেখক বানানোর টোপ দিয়ে কিংবা পদধারী কাউকে অথবা খ্যাতির কাঙাল কোনো টাকার কুমিরের বই প্রকাশ করে, প্রকাশকদের অনেকে কোটিপতি হয়ে গেছেন। এসবের সত্যমিথ্যা অনুসন্ধান করার দায়িত্ব গণমাধ্যমেরই প্রথম। এ রকম প্রশ্নের তালিকা দীর্ঘ হতে পারে। বাকিটা আমাদের গণমাধ্যমের নীতিনির্ধারকরা চাইলে ভেবে দেখতে পারেন।

আমাদের গণমাধ্যমের যেসব বন্ধু বইমেলার প্রতিবেদন নিয়ে কাজ করেন বেশিরভাগ সময় তারা যেন পদধারী বা ‘সেলিব্রেটি’ খুঁজে বেড়ান। বইমেলায় সেলিব্রেটিই শেষ কথা নয়। আমাদের বইমেলা ঘিরে বিগত বছরগুলোতে এই ‘সেলিব্রিটি বন্দনা’ ক্ষমতাবান পদবানদের তেলবন্দনা কি চলেনি? 

অথচ বইমেলার উদ্দেশ্য হলো দায়িত্বশীল জায়গার কেন্দ্রের মানুষদের সঙ্গে নিয়ে যেমন উদযাপনে মেতে ওঠা, একই সঙ্গে তাদের প্রশ্নের মুখোমুখিও করা। 

এই বইমেলায় খোদ সংস্কৃতিমন্ত্রীকে নিয়েই একটা প্রাণবন্ত সংলাপ হতে পারত বা নাতিদীর্ঘ একটা সাক্ষাৎকার প্রচার করা যেত মূল মঞ্চেই। আমি কল্পনা করতে পারি এতে মানুষ আগ্রহী হয়ে জমায়েত হতো। প্রশ্নগুলো হতে পারত এ রকম : 

১. স্বাধীনতার ৫০ বছরেও বঙ্গবন্ধু লেখক ট্রাস্ট পুনরুজ্জীবিত কেন করা হলো না?
২. সংস্কৃতি সচিব কোন এখতিয়ারের বলে স্বায়ত্তশাসিত বাংলা একাডেমির কাজে হস্তক্ষেপ করার উদ্যোগী হলেন? এ ব্যাপারে মন্ত্রীর ব্যাখ্যা কী? 
৩. সারা দেশে উপজেলা পর্যায়েই গ্রন্থাগার নেই। তা হলে হাজার হাজার বইয়ের গন্তব্য কোথায়? জাতি হিসেবে আমাদের পঠন ঐতিহ্যের হালহকিকত কী? 
৪. ডিজিটাল বাংলাদেশে গ্রন্থাগারগুলো ডিজিটাল করা গেল না কেন? যেখানে আধুনিক বিশ্বে অন্য দেশের 
বইও স্বদেশের গ্রন্থাগারের মাধ্যমে ধার নেওয়ার সুযোগ থাকে।
৫. পর্যাপ্ত গ্রন্থাগার ছাড়া, বই পড়ার সুযোগ ছাড়া 
সাংস্কৃতিক জাগরণ কীভাবে হবে? সাংস্কৃতিক জাগরণ ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন জাতি হিসেবে আমরা কেমনে দেখব?
৬. আমাদের কেন একটি আধুনিক সংস্কৃতি নীতি নেই? 
৭. আমাদের কেন একটি আধুনিক গ্রন্থ ও গ্রন্থাগার নীতি নেই?
৮. আমাদের কেন একটি ভাষানীতি নেই? 
৯. আমাদের কেন একটি স্থায়ী অভিধান সভা নেই? 
১০. আমাদের কেন একটি আধুনিক অনুবাদ নীতি নেই? ১১. প্রধানমন্ত্রী বারবার অনুবাদের ওপর জোর দিলেও আমাদের কেন একটি স্বাধীন অনুবাদ তহবিল নেই? 
১২. তরুণদের সামনে সরকারের তরফ থেকে লেখালেখির জগতে তেমন কোনো সুযোগ কি আছে?

এর বাইরে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতারাও মান্যবর মন্ত্রীকে সরাসরি প্রশ্ন করার সুযোগ কাজে লাগাতে পারতেন। একইভাবে আমরা তথ্যমন্ত্রীর মুখোমুখি হতে পারি। মুখোমুখি হতে পারি এ রকম বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষের প্রাসঙ্গিক মুখপাত্রের সঙ্গেও। এখানে ভালো বই নিয়ে যেমন আলোচনা হবে, তেমনি খারাপ বই নিয়েও চুলচেরা আলোচনা হবে। ভাবনাগুলো সংশ্লিষ্টদের বোধে নিলে হয়তো আরও মানসম্মত বইমেলা উপহার দেওয়া সম্ভব।

(সুইডেন প্রবাসী লেখক)





https://www.shomoyeralo.com/ad/Google-News.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড
এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫। ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com