প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২১ মার্চ, ২০২৩, ৫:৪৬ এএম | অনলাইন সংস্করণ Count : 106
চলতি অর্থবছরের (২০২২-২৩) ৮ মাসে ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা। ৮.৯২ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় পিছিয়ে আছে এখনও ৪৭.০২ শতাংশ। এর আগে জানুয়ারি পর্যন্ত ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১৭ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ ঘাটতির বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়ার কারণে বড় ধরনের সংকটের মধ্যে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সংকট উত্তরণে প্রতিষ্ঠানটির আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক বিভাগ থেকে নতুন নতুন উদ্যোগের কথা বলা হলেও ফলাফল মিলছে পুরো উল্টো। যদিও করোনা মহামারি পরবর্তী চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটকে দায়ী করছেন কর্মকর্তারা।
এনবিআরের পরিসংখ্যান বিভাগের সাময়িক হিসাব বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে ২ লাখ ১৯ হাজার ১৫ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩৭ দশমিক ৫১ কোটি টাকা। অর্থাৎ ঘাটতি ২২ হাজার ৯৭৮ দশমিক ৪৮ কোটি টাকা। সেই হিসেবে লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে রয়েছে ৪৭.০২ শতাংশ। আর ৮ মাসে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৮.৯২ ভাগ।
রাজস্ব আদায়ের পরিসংখ্যানে আরও দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাস মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট আদায় হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এ খাতে আদায় হয়েছে ৭৬ হাজার ৪০১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। সবচেয়ে বেশি ১৫.০৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও ঘাটতি হয়েছে ৫ হাজার ৭৩৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
এরপরের অবস্থান আয়কর ও ভ্রমণ করের। এ খাতে আদায়কৃত রাজস্বের পরিমাণ ৬০ হাজার ৪৩৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এখানে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ হাজার ৭৫৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা পিছিয়ে আছে।
একই সময়ে আমদানি ও রফতানি পর্যায়ে শুল্ককর আদায় হয়েছে ৫৯ হাজার ১৯৮ কোটি ৭ লাখ টাকা। ঘাটতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ১৩ হাজার ৮১৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। প্রবৃদ্ধিও সবচেয়ে কম মাত্র ৪.৩৬ শতাংশ। অর্থাৎ আমদানি ভাটা পড়ার প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আদায়েও।
চলতি বছরে এনবিআরকে বিদায়ি অর্থবছরের (২০২১-২২) তুলনায় ৪০ হাজার কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়। বিদায়ি অর্থবছরে সব মিলে ৩ লাখ ২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করেছিল এনবিআর। ঘাটতি ছিল প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরে (জুলাই-জুন) এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয় ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি ও রফতানি পর্যায়ে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ১১ হাজার কোটি, মূসক আদায়ে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা এবং আয়কর খাতে ১ লাখ ২২ হাজার ১০০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। পুরো অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাকি ৪ মাসে এনবিআরকে আরও প্রায় ১ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করতে হবে।