প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২১ মার্চ, ২০২৩, ১০:৩২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ Count : 75
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত প্রশাসনিক, একাডেমিক ও শৃঙ্খলাবোধ বিষয়ক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০ মার্চ (সোমবার) দুপুরে ক্যাম্পাসে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এর সাবেক উপাচার্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান। পাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান, কেষাধ্যক্ষ অধ্যাপক কে এম সালাহ উদ্দীন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সকল শহীদ স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এর পরে অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট দিয়ে সম্মান জানান আয়োজকেরা। এর আগে সকালে প্রধান অতিথিকে সঙ্গে নিয়ে ক্যাস্পাস প্রাঙ্গণের স্মৃতি স্তম্ভের সম্মুখে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন প্রধান অতিথি। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা প্রধান অতিথিকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। পরে একাডেমিক ভবনের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
এ সময় প্রধান অতিথি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শিক্ষা মানুষকে আলোকিত করে, তথ্য মানুষকে সমৃদ্ধ করে। আমাদের সবার মাঝে রতœভান্ডার আছে, আলো আছে। সেটাকে আলোকিত করতে হবে। বিহঙ্গের মতো নিজেকে মেলে ধরতে হবে। সবার মধ্যে অগ্নির শক্তি আছে। সেই শক্তিটাকে জানতে হবে। কীভাবে এই আলো জ্বালাবো সেটা বুঝতে হবে- জানতে হবে। মনকে বিকশিত করতে হবে। ছাত্র শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, একজন শিশু যাতে শৃঙ্খলার মধ্যে সুন্দরভাবে বেড়ে উঠে, সেই পরিবেশ আমাদের সৃষ্টি করতে হবে। মূল্যবোধ সম্পন্ন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হবে। মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ পরিবার দেশ জাতিকে এগিয়ে নিতে পারে। সার্টিফিকেট সম্পন্ন না হয়ে ভালোভাবে জেনে শিক্ষর্াীরা যেন বের হতে পারে। বাংলাদেশে অনেক মেধাবী আছে তাদের খুঁজে বের করতে হবে। তরুণরা নিজেরাই নিজেদের নেতৃত্ব দিতে পারে। তরুণদের চাকরী না করে উদ্যোক্তা হতে হবে। নিজেরা নতুন কিছু তৈরি করবে, এই স্বপ্নও দেখবে।
রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুকেন্দ্র সম্পর্কে বলেন,বঙ্গবন্ধু রুপুপর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের স্বপ্ন দেখেছিলেন। আমরা নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের ৩৩তম গর্বিত সদস্য দেশ। এর আগে আমরা স্বপ্নের পদ্মা সেতু দেখেছি। রুপপুর বাংলাদেশের গর্ব হতে চলেছে। ভবিষ্যতে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংযোগ স্থাপিত হবে।
বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার স্মৃতির কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি যখন শিশু, বঙ্গবন্ধু আমার কপালে চুমু দিয়েছিলেন। আমি সেই স্মৃতি ধারণ করি, লালন করি। সেটা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ স্মৃতি। পাবনায় অনেক বিখ্যাত মানুষ, পন্ডিত জম্ম নিয়েছেন। পাবনা গর্বের জায়গা। নতুন মহামান্য রাষ্ট্রপতি পাবনার মানুষ। এই বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে। সারাদেশে উদাহরণ হতে যাচ্ছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এখানকার শিক্ষার পরিবেশ খুব ভালো। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান, কবিতার পংক্তি দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, সমাজকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সম্পদ খুঁজে বের করতে হবে। ভিতরের আলোর প্রজ্জ্বলন ঘটাতে হবে। নতুন নতুন ভাবনা তৈরি করতে হবে। আমাদের মাঝে আন্তরিকতা, ভালোবাসা আছে। সম্মিলিতভাবে কাজ করছি। জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের ভালো কাজের সুবাতাসের ঘ্রাণ সবাই পাবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালোবাসি। সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করছি। সম্মিলিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। সকলের প্রচেষ্টায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার মানে সকলের উপরে স্থান অর্জন করবে।