প্রকাশ: বুধবার, ২২ মার্চ, ২০২৩, ৪:৩১ এএম | অনলাইন সংস্করণ Count : 114
জন্ম থেকে শব্দ শুনতে না পাওয়া ২৮ শিশু এখন থেকে শুনতে পাবে। মুখে তাদের কথাও ফুটেছে। তারা মা-বাবা ডাকার পাশাপাশি অনেকটা স্বাভাবিক কথা বলছে। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিনামূল্যে জন্মবধির এই শিশুদের কানে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট করা হয়েছে।
সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কর্মসূচির আওতায় ইমপ্ল্যন্টের পর স্পিচ থেরাপিও দেওয়া হয়। যাতে শোনার পাশাপাশি তারা কথাও বলতে পারে। জন্মবধির শিশুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনাই এ কর্মসূচির লক্ষ্য।
কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কর্মসূচিতে বধির বা গুরুতর শ্রবণশক্তি হ্রাস পেয়েছে এমন ব্যক্তির কানে একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস স্থাপন করা হয়। এতে ধীরে ধীরে শ্রবণশক্তির উন্নতি হয়। কারণ কক্লিয়ার শব্দকে বৈদ্যুতিক আবেগে রূপান্তরিত করে। ইমপ্লান্টের লক্ষ্য হলো কক্লিয়ারের কাজ প্রতিস্থাপন করা। একটি কক্লিয়ার ইমপ্লান্টের সফল ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারীর নিয়মিত থেরাপি ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।
হাসপাতালটির কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কর্মসূচির পরিচালক ডা. নূরুল হুদা নাঈম বলেন, ওসমানী হাসপাতালে জন্মবধির শনাক্তে তিন ধাপে পরীক্ষা করা হয়। এ ক্ষেত্রে জরুরি হলেও রেডিওলজিস্ট নিয়োগ করা হয়নি এখনও। ২০২০ সালে এর যাত্রা শুরু হলেও করোনার কারণে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ নিতে বেগ পেতে হয়েছে ডাক্তার ও নার্সদের।
হাসপাতালটির ইএনটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ বলেন, কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কর্মসূচির আওতায় সিলেটের জন্মবধির শিশুরা কানে শুনছে ও কথা বলছে। তবে যে ডিভাইস তাদের কানে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে সেটির ব্যাটারি তিন মাস পরপর পাল্টাতে হয়।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট করলেই শতভাগ কানে শুনবে, তা নয়। কেউ শতভাগ শোনে আবার কেউ কেউ কিছুটা কম শোনে। তবে অবস্থার উন্নতি হয়। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। প্রতিস্থাপনের পর বছরখানেক অবজারভেশনে রেখে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়।’
হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেলারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, এখন জন্মবধির শিশুরা সমাজের বোঝা নয়, সম্পদে পরিণত হচ্ছে।