প্রকাশ: বুধবার, ২২ মার্চ, ২০২৩, ৮:২১ এএম | অনলাইন সংস্করণ Count : 170
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় আট বছরে এক শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা শিক্ষক মো. ফেরদৌসের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নূরে হেরা মাদানীতুল উলুম মাদ্রাসা এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিং এ। এর আগেও অভিযুক্ত শিক্ষক বেশ কয়েকবার এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের।
এদিকে বলাৎকারের ঘটনার কোন বিচার না করে সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগ এনে ভ্রাম্যমান আদালেতর মাধ্যমে ফেরদৌসকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল-ইমরানের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা। তাদের ধারনা অভিযুক্ত ঐ শিক্ষককে বাঁচাতে ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা হচ্ছে।
গত ২০ মার্চ সরকারি কাজে দেয়ায় ১৮৬ ধারায় ফেরদৌসকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন ইউএনও মো. আল ইমরান।
এ বিষয়ে নির্বাহী অফিসার আল-ইমরান বলেন, সরকারি কাজে বাধাঁ দেয়ায় ফেরদৌসকে সাজা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে কারো আপত্তি থাকলে তিনি আইনগত সহায়তা নিতে পারেন।
বলাৎকারের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও বলেন লোকমুখে একটি ঘটনা শুনেছি তবে কোন অভিযোগ পাইনি। আর বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ ব্যাপার। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা আদালতে মামলা করবেন। আদালত বিচার করবে সেখানে আমার কোন হাত নেই।
ভিকটিম শিশুটি জানায়, শিক্ষক ফেরদৌস প্রথমে তাকে রুমে ডেকে নিয়ে শরীর টিপে দিতে বলেন। পরে তার সাথে আপত্তিকর কাজে লিপ্ত হন। মুখ বন্ধ রাখতে ভিকটিমকে মারধোরের ভয় দেখানো হয়।
ভিকটিম শিশুটির মা রাশিদা বেগম বলেন, তার ছেলে বেশ কয়েদিন ধরে মাদ্রাসায় যেতে চায় না। তাকে মাদ্রাসায় যেতে জোর করলে ছেলেটি তার সাথে শিক্ষকের করা যৌন হয়রানির কথা জানায়। ছেলেটি আহত হওয়ায় ভয়ে মাদ্রাসায় যেতে আপত্তি করছিল। তিনি আরো বলেন, আমরা গরীব ও অসহায় বলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারিনি। ছেলেকে মাদ্রাসা থেকে নিয়ে আসছি।
ভিকটিমের বাবা আবুল কালাম হাওলাদার বলেন, তারা প্রভাবশালী, আমরা তাদের সঙ্গে পারুম না। তাই ছেলেকে মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে নিয়ে আসছি।
শিল্প বেগম নামে এক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, কিছুদিন আগে তার মেয়েকে শিক্ষক ফেরদৌস কু-প্রস্তাব দিলে মেয়ে বাসায় এসে কান্নাকাটি করে। পরে তিনি উপজেলা ভূমি অফিসের অফিস সহকারী মনিরকে জানায়।
এ প্রসঙ্গে মনির বলেন, তার কাছে অভিযোগ দেয়ার পরে অভিযুক্ত শিক্ষক ফেরদৌস ভিকটিমের বাড়িতে গিয়ে হাত-পা ধরে কান্নাকাটি করলে তারা অভিযোগ প্রত্যাহার করেন।