ই-পেপার বিজ্ঞাপনের তালিকা  বুধবার ৩১ মে ২০২৩ ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
ই-পেপার  বুধবার ৩১ মে ২০২৩
https://www.shomoyeralo.com/ad/Amin Mohammad City (Online AD).jpg

https://www.shomoyeralo.com/ad/780-90.jpg
নতুন বাজেট: পরোক্ষ কর থেকে রফতানি খাতকে রেহাই দিতে হবে
এসএম আলমগীর
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৬ মে, ২০২৩, ৫:৫৩ এএম | অনলাইন সংস্করণ  Count : 104

নতুন অর্থবছরের বাজেট একেবারে দোরগোড়ায় চলে এসেছে। ১ জুন, বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট পেশ করার কথা রয়েছে। এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৯১ কোটি টাকা।

আসন্ন নতুন বাজেট নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। দেশের ব্যবসায়ী সমাজও বাজেট নিয়ে তাদের মতামত দিচ্ছেন। সংকটকালীন এই সময়ের বাজেট কেমন হওয়া দরকার, ব্যবসা-বাণিজ্য যাতে আরও সুন্দরভাবে পরিচালনা করা যায় তার জন্য বাজেটে কী কী পদক্ষেপ থাকা দরকার সেসব বিষয়েও মত দিচ্ছেন ব্যবসায়ী নেতারা। 

সময়ের আলোর কাছে আসন্ন বাজেট নিয়ে কথা বলেছেন নিটওয়্যার খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।

তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি এবং ব্যবসা-বাণিজ্য একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থার মধ্যে যাতে ব্যবসাবান্ধব বাজেট দেয় সরকার-আমাদের চাওয়া থাকবে সে রকমই। তবে এনবিআর সংশ্লিষ্ট ও কর বিষয়ক নানা জটিলতা থেকে আমরা রেহাই চাই। এবারের বাজেটে যেন পরোক্ষ কর থেকে ব্যবসায়ীদের রেহাই দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে নতুন বাজেটে উৎসে আয় কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশের দাবি জানাচ্ছি।

মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আমরা আমাদের দাবি-দাওয়া ইতিমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে তুলে ধরেছি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু দিক হলো- আমদানি শুল্ক এবং পরোক্ষ কর থেকে রফতানিকৃত পণ্যকে অব্যাহতি, পণ্য রফতানি করা হলে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত পণ্যের আমদানি শুল্ক এবং পরোক্ষ কর থেকে অব্যাহতি, রফতানি পণ্যের উৎপাদন বর্জ্য রফতানি বা বর্জন করা হলে আমদানি শুল্ক এবং পরোক্ষ কর থেকে অব্যাহতি, এসইজেডে সঞ্চিত পণ্য শুল্ক ও পরোক্ষ কর থেকে অব্যাহতি এবং সব উৎপাদনমুখী এবং রফতানি খাতকে বন্ডেড ওয়্যার-হাউস সুবিধা সম্প্রসারণ করে বিশ^ বাণিজ্য সংস্থার নীতিমালার সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ প্রণোদনা আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে ক্রমান্বয়ে বিলোপ করে সংগতিপূর্ণ অন্যবিধ ব্যবস্থাদি গ্রহণ করা। সে সঙ্গে রফতানিমুখী গ্রামীণ ও ক্ষুদ্র শিল্প এবং নারী উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ে খাতভিত্তিক রফতানিকারক এবং উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠানগুলোকে যৌথ ব্যবস্থাপনায় বন্ডেড ওয়্যার হাউস সুবিধা প্রদান করা।

উৎপাদন খরচ এবং সময় কমানোর জন্য রফতানি খাতসহ শিল্প খাতে উৎস ও আগাম কর ফেরত দেওয়ার পরিবর্তে বিলোপ করা, রফতানি বাণিজ্যে ব্যয় এবং সময় কমানোর জন্য রফতানি পণ্যে ব্যবহৃত আমদানিকৃত এবং দেশীয় উপকরণের ওপর পরিশোধিত সব শুল্ক ও কর রফতানি মূল্য সাপেক্ষে একক বিভাগ মারফত স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাৎক্ষণিক ফেরত প্রদান করা, সব উৎপাদনশীল এবং রফতানি খাতে দক্ষতা বৃদ্ধি, পরিবেশবান্ধব এবং স্বাস্থ্যসম্মত উৎপাদনশীলতা উন্নয়নের লক্ষ্যে করমুক্ত বিনিয়োগের সংস্থান করা, সব উৎপাদনশীল এবং রফতানি খাতে করমুক্ত বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ইত্যাদি সরবরাহে সংস্থান করা, সেবা খাতের রফতানি বৃদ্ধির জন্য করমুক্ত সহায়ক দ্রুতগতির কারিগরি পরিকাঠামো নিশ্চিত করে সহজ-সুলভ বিনিয়োগ ব্যবস্থা কার্যকর করা।

তিনি আরও বলেন, বাজেট বরাদ্দ এবং দাতা সংস্থা কর্তৃক প্রদেয় সহায়তায় সব উৎপাদনশীল এবং রফতানি খাতে ১-২ শতাংশ সাশ্রয়ী সুদের হার নির্ধারিত করা। কারিগরি সক্ষমতা, দক্ষতা, উৎপাদনশীলতা উন্নয়নসহ পণ্য বা সেবার বাজার উন্নয়নে কারিগরি এবং আর্থিক সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং তদারক করা। পণ্যে এবং সেবা খাতের আন্তর্জাতিক গুণগত অ্যাক্রিডিটেড মানসনদ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা প্রদান করা, রফতানি পণ্যের আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা প্রদান করার মাধ্যমে বাংলাদেশের পণ্যে এবং সেবার বাজার সংরক্ষণ ও মূল্য সংযোজন ত্বরান্বিত করা, রফতানি হাউস বা এক্সপোর্ট হাউস প্রতিষ্ঠা করে ছোট ছোট উদ্যোক্তাদের সহায়তা করা। পণ্যে বিদ্যমান উৎসে করের হার ১ শতাংশ হতে কমিয়ে ০.২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছি আমরা।

মোহাম্মদ হাতেম আরও বলেন, শতভাগ রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের রফতানি এবং উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে ভ্যাট অব্যাহতি চেয়েছি আমরা। রফতানি তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য করপোরেট ট্যাক্স হার ১২ শতাংশ এবং গ্রিন কারখানার জন্য ১০ শতাংশ আগামী ৫ বছর বলবৎ রাখা দরকার। রফতানির বিপরীতে প্রদত্ত নগদ সহায়তার ওপরে আয়কর কর্তনের হার ১০ শতাংশ থেকে হ্রাস করে শূন্য শতাংশ নির্ধারণ। তৈরি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে অ্যাসেসমেন্টের সময় কর আরোপকালে অগ্রহণযোগ্য খরচ ও অন্যান্য আয়ের ক্ষেত্রে করপোরেট ট্যাক্স হার ১২ শতাংশ ও গ্রিন কারখানার জন্য ১০ শতাংশ হারে কর আরোপ করা। এর বাইরে আরও বেশ কয়েকটি প্রস্তাব আমরা এনবিআরের কাছে দিয়েছি। আমরা আশা করব এবারের বাজেটে আমাদের চাওয়াগুলোর প্রতিফলন ঘটবে।


আরও সংবাদ   বিষয়:  পরোক্ষ কর  




https://www.shomoyeralo.com/ad/Google-News.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড
এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫। ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com