প্রকাশ: বুধবার, ৩১ মে, ২০২৩, ৭:১০ এএম | অনলাইন সংস্করণ Count : 118
নবজাতকের সুন্দর অর্থবহ নাম রাখা অভিভাবকের দায়িত্ব। নাম মন-মানসিকতার ওপর প্রভাব ফেলে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত-রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সন্তানের সুন্দর নাম রাখা ও তার উত্তম শিক্ষার ব্যবস্থা করা বাবার ওপর সন্তানের হক’ (মুসনাদে বাজ্জার : ৮৫৪০)।
হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত-রাসুল (সা.) বলেন, ‘কেয়ামতের দিন তোমাদের ডাকা হবে তোমাদের ও তোমাদের বাবার নাম নিয়ে, সুতরাং তোমরা নিজেদের জন্য সুন্দর নাম রাখো’ (আবু দাউদ : ৪৯৪৮)। আবদুল হুমাইদ বিন শায়বা বলেন, আমি হজরত সাঈদ ইবনুল মুসাইয়িবের কাছে বসা ছিলাম। তিনি তখন বললেন, আমার দাদা ‘হাযান’ একবার নবীজির দরবারে উপস্থিত হলেন। নবীজি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার নাম কী? দাদা বললেন, আমার নাম হাযান।
(হাযান অর্থ শক্তভূমি) নবীজি বললেন-না, তুমি হচ্ছ ‘সাহল’ অর্থাৎ তোমার নাম হাযানের পরিবর্তে সাহল রাখো; সাহল অর্থ নরম জমিন। দাদা বললেন, আমার বাবা আমার যে নাম রেখেছেন আমি তা পরিবর্তন করব না। সাইদ ইবনুল মুসাইয়িব বলেন, এর ফল এই হলো যে, এরপর থেকে আমাদের বংশের লোকদের মেজাজে রূঢ়তা ও কর্কশভাব রয়ে গেল। (বুখারি : ৬১৯৩)। সুতরাং, শখের বসে সন্তানের যেকোনো নাম রাখা উচিত নয়। সুন্দর অর্থবহ নাম রাখা কাম্য।