প্রকাশ: বুধবার, ৩১ মে, ২০২৩, ১১:০৪ এএম | অনলাইন সংস্করণ Count : 164
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের জবানবন্দি নেওয়ার সময় আদালত কক্ষে হাতাহাতি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ মে) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আসাদুজ্জামান বিকেল ৩টার দিকে আব্দুল মতিন নামে একজন সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়া শুরু করেন। সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়ার সময় বিএনপিপন্থী একদল আইনজীবী আদালত কক্ষে প্রবেশ করে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। তারা আদালত কক্ষে বিশৃঙ্খলা শুরু করেন এবং বাদীপক্ষের আইনজীবীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতিতে জড়ান। এসময় সাক্ষী আব্দুল মতিনকে লক্ষ্য করে ফাইলপত্র ছুঁড়ে মারা হয়। তিনি নাকে আঘাত পেয়ে সামান্য আহত হন। এক পর্যায়ে বিচারক জবানবন্দি রেকর্ড করা বন্ধ করে এজলাস থেকে নেমে খাসকামড়ায় চলে যান। এ সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদালত চত্বরে স্লোগান দিতে থাকেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আদালত চত্বরে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ। এরপর বিকেল পৌনে ৬টার দিকে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা ধাওয়া দিয়ে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের এজলাস থেকে বের করে দেন। এসময় কয়েকজন আইনজীবী আহত হন। পরবর্তীতে সন্ধা ৬টার পর পুনরায় সাক্ষী আব্দুল মতিনের অসমাপ্ত জবানবন্দি গ্রহন ও অপর সাক্ষী মো. মুছার জবানবন্দি গ্রহণ করেন বিচারক। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৩১ মে তারিখ ধার্য করেন আদালত। এ নিয়ে এ মামলায় আট জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। এদিন আদালতের কার্যক্রম প্রায় ৩ ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। ২০০৮ সালে দুই জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। তারেকের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।