ই-পেপার বিজ্ঞাপনের তালিকা সোমবার ২ অক্টোবর ২০২৩ ১৭ আশ্বিন ১৪৩০
ই-পেপার সোমবার ২ অক্টোবর ২০২৩
https://www.shomoyeralo.com/ad/Amin-Mohammad-City-(Online).jpg

https://www.shomoyeralo.com/ad/SA-Live-Update.jpg
পরিকল্পনামন্ত্রী জানালেন
মহার্ঘ ভাতা পদ্ধতি চিরতরে দূর করা হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: বুধবার, ৩১ মে, ২০২৩, ১০:৫১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ  Count : 107

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমরা ২০১৫ সালে সরকারি চাকরিজীবিদের বেতন দ্বিগুন বাড়িয়েছি। তাদের বসবাসের জন্য সুন্দর সুন্দর ফ্লাট তৈরি করে দিয়েছি। যা অতীতের কোনো সরকার করেনি। আমরা আর মহার্ঘ ভাতা বাড়াবো না। এটা একটা পার্মানেন্ট ট্রাপ হয়ে যায়। যেহেতু মূল্যস্ফীতি বেড়েছে সেহেতু সাময়িক ভিত্তিতে তাদেরকে কিছু ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তবে মহার্ঘ ভাতা আমাদের সিস্টেম থেকে চিরতরে দূর করা হবে।

বুধবার (৩১ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে বাজেট নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা গ্রামীন প্রকল্পগুলো বেশি বাস্তবায়ন করতে চায়। গ্রামীন সড়ক, সেতু, কালভার্ট, স্বাস্থ্য খাতের অবকাঠামো, শিক্ষাক্ষেত্র অগ্রাধিকার পাবে এবং এগুলো অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। এছাড়া কৃষি যান্ত্রিকীকরণে গুরুত্ব দেয়া হবে। সারে, বিদ্যুতে ভর্তুকি থাকবে।

তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় ৭০ শতাংশ ভোটার গ্রামের। আমার আসনে কোনো পৌরসভা নেই। আমি গ্রামে যেয়ে তাদের সাথে কথা বলেছি। গ্রামের মানুষ চায় চোর-ডাকাতের সমস্যা যেনো না হয়। বিভিন্ন ছুতোয় ঘুরাঘুরি করা ছোট অফিসারগুলোর হাত থেকে তারা সুরক্ষা চায়। তারা সুষ্ঠুভাবে কাজ করে খেতে চায়। তারা চাল, ডাল ও ভাতার কার্ড চায়। ডেমোক্রেসি ও মানবাধিকার তারা খায় না। তিনি বলেন, জনগণের জন্য কল্যাণকর হবে তেমন প্রকল্প আমরা হাতে নেব। লোক দেখানো কিংবা চোখ ধাঁধানো কোনো প্রকল্প আমরা হাতে নেব না। উন্নয়নমূলক, স্বাস্থ্যসেবামূলক ও দারিদ্র দূরীকরণে ভূমিকা রাখবে এমন প্রকল্প হাতে নেয়া হবে।

নির্বাচনী বাজেট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা নির্বাচনী হাওয়া স্বীকার করি। নির্বাচনের বিষয়গুলো আমাদের চিন্তায় আছে। আমরা উন্নয়নমূলক কাজ ধারাবাহিকভাবে করে আসছি। এগুলো করে খুব ভালো ফলও আমরা পেয়েছি। সেই ধারাবাহিকতা এবারও থাকবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি একটা চরম ব্যধি। উন্নয়নশীল সকল দেশেই এটি থাকে। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রের মতো মোড়ল দেশগুলোতে আগে কম মূল্যস্ফীতি থাকলেও এখন বেশি মূল্যস্ফীতি রয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের কিছু কাজ করতে হবে। আমাদের প্রথম কাজ হবে গরীব মানুষের পাশে দাড়ানো। দেশের ৭০ শতাংশ মানুষের চাওয়া চাল, ডাল, তেল, মরিচ, নুনের দাম কমানো। এগুলোতে কর বাদ দিয়ে দেন, চলাচল নির্বিঘ্ন করেন, চাঁদাবাজি পুরোপুরি নির্মূল করেন। উৎপাদনে জোর দেন। তাহলে দুই থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে বাজার স্থিতিশীল হবে। তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশ ছিল। সেখানে ঘুরাঘুরি করলে ভালো হতো। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও কোভিডের কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গিয়েছিল। এটা পুরোপুরি রোধ করা সম্ভব হবে না। 

তিনি বলেন, বেশি বেশি করে তেল, ডাল ও পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে। যাতে এসব পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে পারি। যদি আজ মৌলভিবাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ে তাহলে কাল সকালের মধ্যে ১০০ ট্রাক পেঁয়াজ পাঠিয়ে দিতে হবে। তাহলে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, সব জায়গায় সিন্ডিকেট আছে। যদিও এটা দেখা যায় না। বাজারে দ্রুত হস্তক্ষেপ করা গেলে বাজার নড়াচড়া করবে না। মূল্যস্ফীতি অনেক কষ্টের বিষয়। সরকার আপ্রান চেষ্টা করছে মূল্যস্ফীতি দমিয়ে রাখতে। কিন্তু আমাদের আরও কিছুদিন সহ্য করতে হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, প্রকল্প পরিচালকরা তাদের জায়গায় থাকে না। তারা সবাই বড় শহর কিংবা বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ জায়গা ঢাকাতে এসে বসবাস করে। পিডি হলে একখান গাড়ি পাওয়া যায়। সুতরাং ঢাকায় বউ বাচ্চা থাকলো আমিও এসে থাকলাম। 

তিনি বলেন, আপনার প্রকল্প পঞ্চগড়ে, তাহলে আপনি ওখানে থাকেন। ঢাকায় থাকলে পঞ্চগড়ের প্রকল্প কিভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে বলেই যাচ্ছে। কিন্তু এটা এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি।




https://www.shomoyeralo.com/ad/Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড
এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫। ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com