প্রকাশ: বুধবার, ৩১ মে, ২০২৩, ১০:৫৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ Count : 63
চলতি সংসদের সদস্য ও চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে বুধবার (৩১ মে) জাতীয় সংসদে সর্বসম্মত শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি সংসদের রেকর্ড সংখ্যক সদস্যের মৃত্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, চলতি সংসদে আমরা এতোসংখ্যক সংসদ সদস্যকে হারিয়েছি, যা অতীতে কখনো ঘটেনি।
ফারুককে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফারুক ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে ছাত্রজীবনে আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন। নিষ্ঠা ও সাহসের সঙ্গে প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে অবদান রেখেছেন। দুঃখজনক হচ্ছে, আমরা একে একে সব মুক্তিযোদ্ধাদের হারিয়ে ফেলছি। তিনি এভাবে চলে যাবেন, তা কখনো ভাবিনি। আল্লাহ পরিবারকে এই শোক সইবার ক্ষমতা দিক।
বুধবার বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় আরও অংশ নেন সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, আওয়ামী লীগের আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আসাদুজ্জামান নূর, হাবীব হাসান ও মেহের আফরোজ এবং জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ ও আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
গভীর শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেবল রাজনীতি নয়, আমাদের সাংস্কৃতিক জগতে তার অবদান রয়েছে। তার মৃত্যু সংস্কৃতি অঙ্গনে বিরাট ক্ষতি হয়েছে। প্রতিটি আন্দোলন ও সংগ্রামে আমরা সাংস্কৃতিক কর্মীদের পাশে পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যখন তার নাম নিতেই কেউ সাহস পাচ্ছিলেন না তখন সাংস্কৃতিক কর্মীরা এগিয়ে এসেছিলেন। স্বাধীনতার চেতনাকে সামনে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে ফারুক ভূমিকা রেখেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর দাদি সায়েরা খাতুন ১৯৭৪ সালের ৩১ মে মৃত্যুবরণ করেছিলেন উল্লেখ করে এ দিন তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি সবার কাছে তার (দাদির) জন্য দোয়া চেয়ে বলেন, আমার দাদি জন্ম দিয়েছিলেন আমার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি এনে দিয়েছেন আমাদের স্বাধীনতা। এজন্যই আজকে আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছি।
আলোচনা শেষে আকবর হোসেন পাঠানসহ মৃত্যুবরণকারীদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা রুহুল আমিন মাদানী। পরে রেওয়াজ অনুযায়ী সংসদের বৈঠক মুলতবি করা হয়।
এদিকে সংসদে গৃহীত প্রস্তাবে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. কবীর হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন পঙ্কজ ভট্টাচার্য, কথাশিল্পী সমরেশ মজুমদার, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রোকেয়া আফজাল রহমান, ভাষাসৈনিক এম এ ওয়াদুদের সহধর্মিনী ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির মা রহিমা ওয়াদুদ ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পুত্রবধু কল্যাণী কাজীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়েেেছ। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে মিয়ানমারে হতাহত, বাংলাদেশে আহত এবং দেশ-বিদেশে বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্মরণে গভীর শোক ও সমবেদনা জানানো হয়েছে।
.jpg)
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
ইসলামে খাবার ও ঘুমের বিধান
নাটোর-৪ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হলেন সিদ্দিকুর রহমান
ইছামতি নদীতে বর্ণিল নৌকা বাইচ
অলসতা কাটাবেন যেভাবে
উষ্ণতা ছড়ালেন জয়া
হিলি স্থলবন্দরের প্রধান সড়ক চলাচলে অনুপযোগী, দীর্ঘদিনেও হচ্ছে না সংস্কার
জাবিতে সামাজিক সংগঠন ইফসার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন
হ্যামিলটন চলচ্চিত্র উৎসবে ‘নট আ ফিকশন’
জনপ্রতিনিধির স্বাক্ষরেই রোহিঙ্গারা বনে যাচ্ছে বাংলাদেশি
ফের বাড়ছে তিস্তার পানি, ভাঙছে বাড়ি ঘর