প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৬ জুন, ২০২৩, ৯:৪৮ পিএম (ভিজিট : ১৪৫)
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঝুঁকিপূর্ণ শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে সপ্তম অবস্থানে থাকা জাতীয় জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। ২০৫০ সাল নাগাদ এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ২৩০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে। মঙ্গলবার (৬ জুন) জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘জলবায়ু ঝুঁকি নিরসন এবং জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পানিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ এবং এমিরেটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত বলেন, জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা ও জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার বাস্তবায়নে সংবাদ মাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এ লক্ষ্যে সমন্বিত পানিসম্পদ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি হতে সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রভৃতি বিষয়ের তথ্য নিয়ে কাজ করতে হবে।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ফায়জুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের সদস্য মালিক ফিদা এ খান। বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্টস ফোরামের মহাসচিব আসাদুজ্জামান সম্রাট, জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ আলী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান) ড. মো. মারুফ নাওয়াজ এবং সেমিনার পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এ প্রতিষ্ঠানের উপ-পরিচালক (সংযুক্ত) তানিয়া খান ।
মূল প্রবন্ধে উপস্থাপক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে প্রাকৃতিক বিপর্যয় একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। এ প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিরসনে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি হ্রাস এবং জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, ক্লাইমেট ভালনারেবল ইনডেক্স অনুযায়ী বিশ্বের ১৯২টি ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি ও অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় একটি বলিষ্ঠ অভিযোজন পরিকাঠামো গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি অভিজ্ঞতা বিনিময়, জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং ন্যাপ সম্পর্কে জনগণের ভূমিকা সম্পর্কে জানাতে সাংবাদিকদের সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।