ই-পেপার শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪

বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা
প্রকাশ: বুধবার, ৭ জুন, ২০২৩, ৫:৫৮ এএম  (ভিজিট : ২৩০)
তীব্র গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ। কয়েক দিন ধরে দেশের বিভিন্ন জেলায় তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে স্বস্তির জন্য বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা। 

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি জানিয়েছেন, প্রচণ্ড গরম থেকে রেহাই পেতে বৃষ্টির আশায় দ্বিতীয় দিনেও ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন জেলার মুসল্লিরা। মঙ্গলবার শহরের গোয়ালপাড়া কওমি মাদরাসা মাঠে এ নামাজ আদায় করেন চার শতাধিক মুসল্লি। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য মুফতি হারুন অর রশীদ বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন। এর আগের দিন সোমবারও এ নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। 

এ বিষয়ে মুফতি হারুন অর রশীদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষ পানির জন্য হাহাকার করছে। বৃষ্টি বা পানির জন্য আল্লাহ সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাইতে বলেছেন। আল্লাহর কাছে চাওয়া সুন্নত। আর এ চাওয়াকে আরবিতে সালাতুল ইসতিসকা বলা হয়।

মেহেরপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, প্রচণ্ড গরম থেকে স্বস্তি পেতে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন গাংনী উপজেলার মুসল্লিরা। মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার কাজিপুর কলেজের পাশে ফসলের মাঠে দুই রাকাত সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়। ওই এলাকার সব বয়সি মানুষ নামাজে অংশগ্রহণ করেন। নামাজের মাধ্যমে মুসল্লিরা মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানান চলমান বিরূপ আবহাওয়া পরিবর্তন করে যেন বৃষ্টি দেওয়া হয়। এ জন্য তারা দোয়া করেন। নামাজে ইমামতি করেন কাজীপুর দারুল উলুম দাখিল মাদরাসার সুপার আবদুর রশিদ আকতার। ১৫ দিন ধরে মেহেরপুরে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হয়নি। তাপমাত্রা ৩৬-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। টানা তাপদাহে অসুস্থ হয়ে পড়ছে অনেকে। 

দিনাজপুরে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানিয়েছেন, সদর উপজেলার চেহেলগাজী মাজার সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন জেলার মুসল্লিরা। এতে ইমামতি করেন স্থানীয় বড়ইল মাদরাসার অধ্যক্ষ (মুহতামিম) মাওলানা আবদুল কাইয়ুম। গাছপালা, ফলমূল, কৃষি-ফসল রক্ষা, মানুষ, পশু-পাখির কষ্টের অবসান চেয়ে নিজেদের পাপাচারের ক্ষমার জন্য তওবা করে বৃষ্টির জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা জানান তারা। এতে অংশ নেন ওই এলাকার কয়েকশ মুসল্লি। নিয়ম অনুযায়ী তৃতীয় দফায় ইসতিসকার নামাজ আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। 

দিনাজপুরের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি থেকে তীব্র তাপদাহ। রাতের তাপমাত্রা ২৫-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করলেও গত কয়েক দিন ধরে দিনের তাপমাত্রা বিরাজ করছে ৩৯-৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তা আবু সাঈদ সময়ের আলোকে জানান, রোববার মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৬৫ বছর আগে ১৯৫৮ সালের ৩ জুন দিনাজপুরে সর্বোচ্চ রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি আরও জানান, সোমবার বিকাল ৩টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।




এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close