প্রকাশ: বুধবার, ৭ জুন, ২০২৩, ৮:২২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ Count : 112
নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো দলের আলোচনার জন্য আহ্বান করার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনার জন্য কাউকে বলাও হয়নি। কাউকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। এটা আওয়ামী লীগের বাড়ির দাওয়াত নয় যে, ডেকে এনে খাওয়াব।
বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঐতিহাসিক ছয় ৬ দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
৬ দফা দিবস আন্দোলনের সময়ও নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছিল উল্লেখ করে আমু বলেন, আজও যেসব ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তখনও হয়েছিল। নির্বাচনের বিরুদ্ধে বক্তব্য এসেছিল। ইয়াহিয়া খানের বিরুদ্ধে কোনো নির্বাচন করা যাবে না। কেউ বলেছিল, ভোটের বাক্সে লাথি মারো, ভোটের আগে ভাত চাই। কেউ বলেছিল, এলওফোর আন্ডারে নির্বাচন করা যাবে না। বঙ্গবন্ধু পরিষ্কার বলেছিলেন, আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। আমি প্রমাণ করতে চাই, বাংলার মানুষের পক্ষে কথা বলার অধিকার কার আছে? বাংলার মানুষ কী চায়? ৬ দফাকে রেফারেন্ড হিসেবে ঘোষণা করে তিনি নির্বাচনে অংশ নিয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পান। আর এর মধ্য দিয়েই প্রমাণ হয়, বাংলার মানুষের প্রাণের দাবি একমাত্র ৬ দফা। এবং ৬ দফার ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে আসে স্বাধীনতা।
তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু ২০১৩ সাল থেকে। সেই নির্বাচনে তখন জাতিসংঘ থেকে তারানকোকে আনা হয়েছিল। আমাদের সঙ্গে বৈঠকে আমরা প্রমাণ করেছিলাম, যদি নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হয় সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে। একটি দেশের জন্য সাংবিধানিক শূন্যতা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে নাই। তাই সেদিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। এবং ধারাবাহিকভাবে সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়েই শেখ হাসিনা সরকার গঠন করে বাংলাদেশেকে একটি জায়গায় আনতে সক্ষম হয়েছেন। বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর ৩৫তম অর্থনীতির দেশ এবং উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছে। আজ আবার সেই নতুন বুলি। আবার সেই ষড়যন্ত্র নির্বাচন নিয়ে। ২০১৩ সালের রেফারেন্স দিয়েই বলা হয়েছিল, সেই দিনও জাতিসংঘের সামনে আলোচনার ভিত্তিতে তোমরা আলোচনায় পরাজিত হয়েছিলে। তার মাধ্যমেই আমাদের নির্বাচন সুষ্ঠভাবে হয়েছিল। আজও সেই নির্বাচন হবে, সংবিধানের ভিত্তিতে। দেশের সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হতে দেওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা ১৪ দলের পক্ষ থেকে মিটিং করে রেজুলেশন নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন যে, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। এবং সেটা তিনি করবেন। এই সংবিধানের ভিত্তিতেই সেটা হবে এবং সবাইকে সেই নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আগামীতে দেশের মানুষ তাদের ক্ষমতা কার কাছে দেবে সেটা নির্ধারণ করবে। সেই পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়ার জন্য বলা যায়, কিন্তু আলোচনার জন্য নয়।