ই-পেপার শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪

সংলাপের দুয়ার খুলছে!
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০২৩, ২:৩২ এএম  (ভিজিট : ৪৭৫)
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সামনে এসেছে সংলাপ ইস্যু। যদিও বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করবে কি করবে না তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। অবশ্য দলটির কোনো কোনো নেতা বলছেন, সংলাপ ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সংলাপের বিকল্প নেই। প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের নিয়েও বিএনপির সঙ্গে বসবে আওয়ামী লীগ। আবার ভিন্নমত পোষণ করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সর্বশেষ বুধবার সংলাপের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তা হলে সংলাপের দুয়ার কি খুলছে?

এদিকে বিএনপি বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার মেনে আওয়ামী লীগ সংলাপ করলে সেখানে যেতে পারে বিএনপি। কারণ গত ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপ করে কোনো ফল হয়নি। ফলে আগামী নির্বাচন সামনে রেখেও সংলাপ করে কোনো ফল আসবে না। তাই এখন এ সরকারের পতন ছাড়া কোনো কিছু ভাবছে না বিএনপি। এ সরকারের অধীনে তারা নির্বাচনেও যাবে না। অপরদিকে ক্ষমতাসীনরা বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন জাদুঘরে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর কোনো দিন আসবে না। যারা সংসদে নেই তাদের সঙ্গেও সংলাপের প্রশ্নই আসে না। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসানীতি দিয়েছে, তাতে বিএনপি নির্বাচনে না এসে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিলে তারা এ ভিসানীতির আওতায় আসবে। ফলে উভয় পক্ষ একমত না হলে সংলাপের দুয়ার খুলছে না। আর এতে জাতীয় নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু হবে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সংলাপের বিকল্প নেই। এ সংলাপ দেশের ভেতর থেকেই করতে হবে। প্রয়োজনে সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা অথবা রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনও উদ্যোগ নিতে পারেন। অবশ্যই এ সংলাপ হতে হবে নিজেদের মধ্যে। কারণ বিদেশি বা তৃতীয় পক্ষকে এখানে টেনে আনলে তার ফল দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে না। 

গত মঙ্গলবার ১৪ দলের এক সমাবেশে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রতিনিধির সামনে বিএনপির সঙ্গে মুখোমুখি বসে রাজনৈতিক সংকট ও আগামী নির্বাচনের সুরাহা করতে চায় আওয়ামী লীগ। সংবিধানের মধ্যে থেকে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের জন্য আলোচনার দরজা সবসময় খোলা আছে। আলোচনা ছাড়া অন্যকোনো পন্থায় সংকটের সমাধান সম্ভব নয়। 

কিন্তু বুধবার সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের কণ্ঠে শোনা গেছে এর বিপরীত সুর। তিনি বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নিয়ে আমির হোসেন আমুর বক্তব্য তার ব্যক্তিগত। এটি সরকার বা আওয়ামী লীগ বা ১৪ দলের বক্তব্য নয়। তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা নিয়ে দলের মধ্যে, সরকারের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি। এমনকি ১৪ দলের মধ্যেও কোনো আলোচনা হয়নি। এটি সম্পূর্ণভাবে তার ব্যক্তিগত বক্তব্য। এ ছাড়া তার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি বলেছেন, আসলে গণমাধ্যমে যেভাবে এসেছে, তিনি ঠিক সেভাবে বলেননি। 

আর একই দিনে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে এখনও দলে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমাদের দেশে এমন কোনো রাজনৈতিক সংকট হয়নি যে, জাতিসংঘের এখানে ইন্টারফেয়ার করতে হবে। আমাদের দেশে আমরা আলোচনা করব, এটা নিজেদের সমস্যা। নিজেরাই সমাধান করব। 

তবে বুধবার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৩ উদযাপন অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বক্তব্যেও সংলাপের প্রয়োজনীয়তার কথা উঠে আসে। তিনি বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন তথা গণতন্ত্রের স্বার্থে সংলাপের কোনো বিকল্প নেই। সংলাপ চলমান থাকবে। সবকিছুই সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে সাবেক রাষ্ট্রদূত ফয়েজ মুন্সী সময়ের আলোকে বলেন, দেশের সংবিধান আছে, সরকার আছে, নির্বাচন কমিশন আছে। ফলে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এর বাইরে যাওয়ার দরকার নেই। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন সরকার নির্বাচিত হবে। তবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আলাপ-আলোচনা হতে পারে। কিন্তু বিএনপি বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না। যেখানে আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধান থেকে তুলে দিয়েছে। এমনকি আদালতের রায়ের মধ্য দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলাপ-আলোচনার কিছু নেই। ইতিমধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে অনেক ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সেটি করেছে বিএনপি। তবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিএনপির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা বা সংলাপ হতে পারে। যদিও নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির থাকার সুযোগ নেই। কারণ তারা সংসদে নেই। তারপরও তাদের নির্বাচনকালীন সরকারে রাখা যায় কি না, সেটি নিয়ে আলাপ-আলোচনা হতে পারে। যেহেতু এটি আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, তাই নিজেদের মধ্যেই আলাপ-আলোচনা হতে পারে এ বিষয়গুলো নিয়ে। তবে বিদেশিদের বা তৃতীয় পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে নয়। তাতে দেশের জন্য ক্ষতি ছাড়া মঙ্গল হবে না।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য নূহ উল আলম লেনিন সময়ের আলোকে বলেন, বিএনপির সঙ্গে সংলাপে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। তা বিএনপি এলেও হবে, না এলেও হবে। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায়, বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হোক। আমরাও চাই দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। তবে বিএনপি এখন যা বলছে, তারা তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচনে যাবে না, এটা তারা দরকষাকষি করছে। শেষ পর্যন্ত তারা নির্বাচনে আসবে। কারণ তারা ২০১৪ সালের মতো ভুল আর করবে না।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু সময়ের আলোকে বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি এলো কি, না এলো সেটি বিষয় নয়। আর এ জন্য তাদের সঙ্গে সংলাপেরও প্রয়োজন নেই। কারণ বিএনপির সঙ্গে সংলাপ করা মানেই জামায়াতের সঙ্গে সংলাপ। ফলে জামায়াতের সঙ্গে সংলাপ করার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। আর এ ক্ষেত্রে দেখার বিষয় নির্বাচন স্বচ্ছ হচ্ছে কি না। তাই এ মুহূর্তে কারও সঙ্গে সংলাপের দরকার নেই। আর আমির হোসেন আমু সংলাপ ইস্যুতে যে বক্তব্য দিয়েছেন, এটি ১৪ দলের বক্তব্য নয়। ১৪ দল মনে করে এ মুহূর্তে কোনো সংলাপের প্রয়োজন নেই।

সংলাপ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সময়ের আলোকে বলেন, আসলে আওয়ামী লীগের সুর নরম হয়েছে। ধীরে ধীরে আরও নরম হবে। আওয়ামী লীগ সংলাপে ডাকলেই বিএনপি যাবে বিষয়টি এমন নয়। আর আমি এককভাবে বলতেও পারব না, তারা সংলাপে ডাকলে বিএনপি অংশ নেবে। তবে আওয়ামী লীগ যদি মনে করে একটি অবাধ, সুুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সংলাপ প্রয়োজন, সে ক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুতে সংলাপ করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক ইস্যু ছাড়া আমাদের ডাকলেও যাব না। কারণ তারা যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার মেনে নিয়ে সংলাপে বসে বিএনপি সে ক্ষেত্রে অংশ নিতে পারে। এর বাইরে নির্বাচনেও যাবে না বিএনপি, সংলাপেও যাবে না। তাদের সঙ্গে ২০১৮ সালের সংলাপ করে কোনো লাভ হয়নি। ভবিষ্যতেও হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে সময়ের আলোকে বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ঠিক রাখতে সংলাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংলাপ ডাকলেই বিএনপি আসবে, সেটি নিশ্চিত নয়। কারণ গত ১৮ সালের নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর ডাকে বিএনপি সংলাপে অংশ নিয়েছিল, কিন্তু বিএনপির দাবি ওই সংলাপে প্রধানমন্ত্রী যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা তিনি রাখেননি। তবে কাউকে না কাউকে সংলাপের উদ্যোগ নিতে হবে। সংলাপ ছাড়া সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়। তবে তৃতীয় পক্ষ যদি সংলাপের উদ্যোগ নেয়, সে ক্ষেত্রে কিছুটা আশা করা যায়। রাষ্ট্রপতিও সব দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংলাপের উদ্যোগ নিতে পারেন। সেটিও বিএনপি মানবে কি মানবে না তা বলা যাচ্ছে না। 

আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা আমির হোসেন আমুর বক্তব্যে কিছুটা আসার আলো দেখা যাচ্ছে মন্তব্য করে সাবেক এই ইসি আরও বলেন, তিনি (আমির হোসেন আমু) বলেছেন, প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের সামনে বিএনপির সঙ্গে বসবে আওয়ামী লীগ। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংলাপের বিকল্প নেই। যদিও সংবিধানে বলা আছে, দেশের যেকোনো পরিস্থিতি বিবেচনায় নির্বাচন পরেও করা যেতে পারে। এমন কৌশল আওয়ামী লীগ নিতে পারে। আবার তারা যদি মনে করে, আসলেই দেশের গণতন্ত্রের স্বার্থে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া জরুরি, সে ক্ষেত্রে বিএনপিকে সংলাপে ডাকতে পারে। ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি ভিসানীতি দিয়েছে, সেটিও বিএনপির মধ্যে কিছুটা আশার সঞ্চার করেছে। কারণ বিএনপি মনে করে আওয়ামী লীগ যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন না করে, সে ক্ষেত্রে মার্কিন স্যাংশনের আওতায় আসবে। ফলে আওয়ামী লীগ এ স্যাংশন থেকে রেহাই পেতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য সংলাপ করতে পারে। এখন এ সংলাপ আদৌ হবে কি না সেটি বলা যাচ্ছে না।

এ প্রসঙ্গে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার সময়ের আলোকে বলেন, আসলে সরকারি দল আওয়ামী লীগ মনে করে, তারা ছাড়া দেশের সবাই বোকা। জাতীয় নির্বাচনে কে ক্ষমতায় থাকবে, না থাকবে সেই বিষয় সামনে আসে। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি দিয়েছে, এর দায় মূলত সরকারি দলের। তবে শুধু সরকারি দলকে দুষলে হবে না। দেশের সব রাজনৈতিক দলেরই দায়বদ্ধতা রয়েছে। কিন্তু দেশের গণতান্ত্রিক ভিত শক্ত করতে হলে, সরকারবিরোধী দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ বা আলাপ আলোচনা করে এর সমাধান করা উচিত। কারণ সংলাপ ছাড়া এ দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করা যায় না। আলোচনা ছাড়া দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উন্নয়ন সম্ভব নয়। আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আওয়ামী লীগকেই উদ্যোগ নিতে হবে। এর একমাত্র সমাধান আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দলকে সংলাপে বসতে হবে।




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close