প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০২৩, ১১:৩২ এএম | অনলাইন সংস্করণ Count : 108
ধর্ম অবমাননার দায়ে পাকিস্তানে নওমান মাসিহ নামে এক খ্রিস্টান যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত। চার বছর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসলাম নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় তার বিরুদ্ধে এই রায় দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননা অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। সে দেশে এই মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি।
লাহোর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে বাহাওয়ালপুরের ইসলামি কলোনির বাসিন্দা তিনি। চার বছর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসলাম ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগে তাকে ২০১৯ সালে গ্রেফতার করা হয়। তারপর থেকেই মামলাটি চলছিল আদালতে। বিচার চলাকালীন তার মোবাইল ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পাশাপাশি কোর্টে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বয়ান দেন। সমস্ত পক্ষের বক্তব্য শোনার পর ওই সংখ্যালঘু যুবককে দোষীসাব্যস্ত করা হয়।
নোমানের আত্মীয় ওয়াকাস বলেন, তিনি নোমানের কাছ থেকে একটা ছবি হেয়াটসঅ্যাপে পেয়েছিলেন। তারপর সেটা প্রিন্ট করে রাখেন।
২০১৯ সালের ১ জুলাই গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পার্ক থেকে নোমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেসময় নোমান তার ফোন থেকে অন্যদের বিতর্কিত ছবি দেখাচ্ছিল বলে দাবি। এফআইআরে লেখা আছে, সেদিন বিকাল সাড়ে তিনটায় পার্ক থেকে নোমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তার পরিবারের দাবি, পুলিশ রাতের বেলা তাকে বাড়ি থেকে তলে নিয়ে যায়।
নোমানের বিরুদ্ধে চলা বিচারকার্যও বিতর্কিত। তিনি যে বিতর্কিত ছবিটি ছড়িয়েছেন তার স্বপক্ষে কোনও স্বাক্ষী হাজির করতে পারেনি পুলিশ। তার আত্মীয় ওয়াকাসের জবানবন্দি হাজির করা হলেও তা গ্রহণযোগ্য নয়, কারণ ওয়াকাস নিজেওর বিচারের মুখোমুখি।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছবিগুলো নোমানের মোবাইল থেকেই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে। তবে নোমানের আইনজীবীর দাবি, ওই ফোনটি তিন বছর ধরে পুলিশের হেফাজতে আছে, তাই খুব সহজেই সেটির অপব্যবহার করা সম্ভব।