সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ৫টি রোডমার্চসহ এক ডজনের বেশি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। যা চলবে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত। সোমবার ( ১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, অনেক রাজনৈতিক জোট ও দল যুগপতভাবে এ কর্মসূচি পালন করবে তাদের সাধ্যমতো। পরে অসুস্থতার কারণে মহাসচিবের অনুরোধে কর্মসূচি পড়ে শুনান দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
পাঁচটি রোড মার্চ হচ্ছে: ২১ সেপ্টেম্বর ভৈরব থেকে সিলেট ২৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল থেকে পটুয়াখালী, ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনা বিভাগ, ১ অক্টোবর ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ এবং ৩ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম। ঢাকায় হবে সমাবেশ। এগুলো হচ্ছে: ১৯ সেপ্টেম্বর জিঞ্জিরা/কেরানিগঞ্জ গাজীপুরের টঙ্গি, ২২ সেপ্টেম্বর যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, ২৫ সেপ্টেম্বর নয়াবাজার, আমিনবাজার, ২৭ সেপ্টেম্বর গাবতলী এবং নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সমাবেশ। এছাড়া ঢাকায় ২৯ সেপ্টেম্বর মহিলা সমাবেশ, ৩০ সেপ্টেম্বর শ্রমজীবী সমাবেশ এবং ২ অক্টোবর কৃষক সমাবেশ হবে।
বিএনপির চলমান আন্দোলনের পরীণতির বিষয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা ছাত্রজীবনে আন্দোলন করেছি। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। সুতরাং আন্দোলন কখন কোনদিকে মোড় নেবে সেটা একমাত্র রাজপথই বলে দেবে। জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো সরকারই টিকে থাকতে পারে না। এই সরকারও টিকতে পারবে না।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, তাইফুল ইসলাম টিপু, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন ও শহিদুল ইসলাম বাবুল উপস্থিত ছিলেন।
ইতিমধ্যে জাতীয়তাবাদী যুব দল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্র দল যৌথভাবে গত ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে তারুণের্য রোড মার্চ করেছে। এই কর্মসূচিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন।
চারদিনের কর্মসূচি গণতন্ত্র মঞ্চের
সোমবার পুরানা পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে গণতন্ত্র মঞ্চ। এই কর্মসূচি হচ্ছে ১৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে সমাবেশ ও পদযাত্রা; ২৩ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ৩টায় ঢাকার কারওয়ান বাজারে পেট্রোবাংলার সামনে সমাবেশ ও পদযাত্রা; ২৫ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ৩টায় খিলগাঁও তালতলা মার্কেটের সামনে সমাবেশ ও পদযাত্রা এবং ২৭ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও পদযাত্রা। গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম তাঁদের জোটের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, নির্দলীয নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের ‘এক দফা’ দাবিতে গত ১২ জুলাই বিএনপি, গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, সমমনা জাতীয়তাবাদী জোট, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, এলডিপি, গণফোরাম, পিপলস পার্টি, এনডিএম ও লেবার পার্টি যুগপত আন্দোলনে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামে। এই পর্যন্ত যুগপতভাবে তারা ঢাকায় মহাসমাবেশ, ঢাকার প্রবেশ পথে অবস্থান, গণমিছিল, কালো পতাকা মিছিল, পদযাত্রা প্রভৃতি কর্মসূচি দেয়। সর্বশেষ গত ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সমাবেশ/ ৮ সেপ্টেমর ঢাকায় গনমিছিল করে বিএনপিসহ সমমনা জোটগুলো।
সময়ের আলো/এম