প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ২:৫০ এএম | অনলাইন সংস্করণ Count : 280
দেশে শতকরা ৩৯ ভাগ কিশোরী মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। আর ৩২ ভাগ শারীরিক নির্যাতন, ১৪ ভাগ যথাক্রমে যৌন এবং অর্থনৈতিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এ ছাড়াও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার জন্য নির্যাতনের শিকার শতকরা ৫৫ দশমিক ২০ ভাগই বন্ধু বা সহপাঠীকে দায়ী করা হয়েছে।
সোমবার রাজধানীর হোটেল সিক্স সিজনে এডুকো বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বাংলাদেশে কিশোরীদের ওপর জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা এবং তার প্রভাব’ শীর্ষক গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কিশোরীদের ওপর জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা নিয়ে ঢাকা শহর, ময়মনসিংহ ও ঠাকুরগাঁও জেলায় এই গবেষণা পরিচালনা করে এডুকো বাংলাদেশ।
গবেষণার ফলাফলে বলা হয়, শতকরা ৫৪ দশমিক ৯ ভাগ উত্তরদাতা মনে করেন বাল্যবিয়ে হলো সবচেয়ে ভয়াবহ প্রকারের জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা। শতকরা ৫৫ দশমিক ২০ ভাগ উত্তরদাতা বন্ধু বা সহপাঠীকে, ৪১ দশমিক ৮০ ভাগ উত্তরদাতা প্রতিবেশীকে এবং ২৯ দশমিক ৭০ ভাগ উত্তরদাতা নিকটতম আত্মীয়কে জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার জন্য দায়ী করেন।
অনুষ্ঠানে আলোচক বলেন, আমাদের দেশে নির্যাতিত কিশোরীরা পারিবারিক বাধ্যবাধকতা ও সামাজিক প্রতিবন্ধকতার কারণে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তারা অভিযোগ করে না, যার ফলে অনেক কিশোরী মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এমনকি কেউ কেউ আত্মহত্যার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতেও দ্বিধা করে না।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, শিশুর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি অনলাইন নির্যাতনও বেড়ে যাচ্ছে অনেকগুণ। তার কারণ হিসেবে অধিক পরিমাণ ডিভাইসের ব্যবহার দায়ী।
এ সময় এডুকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল হামিদ বলেন, জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা আমাদের কিশোরীদের ওপর শারীরিক ও মানসিকভাবে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যার ফলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত হয়। এডুকো বাংলাদেশ তাদের বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে কিশোরীদের দক্ষতা ও ক্ষমতায়নের জন্য মাঠপর্যায়ে কাজ করছে। তিনি জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা নিরসনে সরকারের পাশাপাশি সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সেক্রেটারি নাছিমা আক্তার জলি, জেন্ডার এক্সপার্ট শীপা হাফিজা, জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের সোশ্যাল ওয়ার্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।
সময়ের আলো/আরএস/