প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৮:৩৮ পিএম আপডেট: ১৯.০৯.২০২৩ ৮:৪৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ Count : 140
তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়েই দলটির শীর্ষ নেতৃত্বে চলে আসলেন বিএনপির সাবেক দুই নেতা শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমুর আলম খন্দকার। শমসের মবিন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন ও তৈমুর আলম মহাসচিব নির্বাচিত হন। এ ছাড়া দলটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার মেয়ে অ্যাডভোকেট অন্তরা সেলিমা হুদা দলটির এক্সিকিউটিভ চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছেন। কাউন্সিলে দলটির ২৭ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে তৃণমূল বিএনপির প্রথম কাউন্সিলে তারা নির্বাচিত হন। এর আগে দুপুরে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল বিএনপির সম্মেলন শুরু হয়।
এরপর বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন ও চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা (বহিষ্কৃত) তৈমুর আলমকে তৃণমূল বিএনপিতে স্বাগত জানান কাউন্সিলের সভাপতি অন্তরা হুদা। তার আশা- শমসের-তৈমুরের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে তৃণমূল বিএনপি আরও গতিশীল হবে। তিনি বলেন, আমার পিতা বিএনপির মন্ত্রিপরিষদে থাকা অবস্থায়ই কেয়ারটেকার সরকারের ফর্মুলা দিয়েছিলেন। সেদিন যদি সেই ফর্মুলাকে গুরুত্ব দেওয়া হতো, তাহলে দেশের রাজনীতি আজ সহিংস হয়ে উঠত না। এখন এই তত্ত্বাবধায়কের জন্য কত আন্দোলন। অথচ আন্দোলনকারী এই দলই সেই সময় ক্ষমতায় ছিলেন। আমরা আর এই পুরনো বির্তকে না যাই। তবে এই তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা যখনই উঠে আসে তখনই দু:খপ্রকাশ করে নিজেদের সাত্বনা দেই।
২০১৫ সালে ব্যারিস্টার নাজমূল হুদা ‘তৃণমূল বিএনপি’ প্রতিষ্ঠা করেন। ২০২৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি দলটি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পায়। এর তিনদিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি মারা যান নাজমুল হুদা। তার মৃত্যুর পর ১৬ মে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন তার মেয়ে ব্যারিস্টার অন্তরা হুদা চেয়ারম্যান। কাউন্সিলের মাধ্যমে এখন তিনি এক্সিকিউটিভ চেয়ারপারসন।
তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দেওয়ার কারণ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির সাবেক আহবায়ক তৈমুর আলম বলেন, বিএনপি তো আমাকে বহিষ্কার করেছে। এরপর আমি দেড় বছর অপেক্ষা করেছি একটা শোকজ নোটিশের জন্য। কেন বহিষ্কার করেছে আমাকে জানান। কিন্তু তা করা হয়নি। তিনি বলেন, তৃণমূল বিএনপি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হবে না। এখানে কাউকে অবজ্ঞা বা অবহেলা করা হবে না। দলে আলোচনা করে আগামী জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বক্তব্যে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের রোগমুক্তি কামনা করেন এবং তার মুক্ত জীবন চান। বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি নিজেই মোনাজাত করেন।
অনুষ্ঠানে পরিচালন করেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আক্কাস আলী খান। দলটি মহাসচিব অবসরপ্রাপ্ত মেজর শেখ হাবিবুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রে থাকায় তার একটি বার্তা শুনানো হয়। কাউন্সিলের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রয়াত নাজমুল হুদার একটি ভিডিও তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়।
সময়ের আলো/জিকে