প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১:৪৬ এএম (ভিজিট : ২৪০)
ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্দিবিনিময় চুক্তির আওতায় প্রথম দফায় দুই দেশের পাঁচজন করে বন্দি মুক্তি পেয়েছেন। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী জব্দ করা ৬ বিলিয়ন ডলার সম্পদও ফিরে পেয়েছে তেহরান। খবর এএফপির।
সোমবার পাঁচ মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেয় ইরান। এদের মধ্যে একজন আট বছর আটক ছিলেন। তারা সবাই কাতারের একটি জেট বিমানে তেহরান থেকে দোহার উদ্দেশে রওনা হন। জব্দ অর্থও কাতারের ব্যবস্থাপনায় থাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হয়। কাতার থেকে পরবর্তী সময়ে তারা একটি মার্কিন সরকারি বিমানে করে ওয়াশিংটনে পৌঁছান। কয়েকজনকে সেখানে চিকিৎসা দেওয়ার কথা রয়েছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, মুক্তি পাওয়া বন্দিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কথা বলেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের বলেন, ‘মার্কিন নাগরিকদের মুক্ত করাই ছিল বাইডেন প্রশাসনের সবচেয়ে প্রাধান্যের বিষয়’।
এদিকে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মুক্তি পাওয়া দুই ইরানি বন্দি দোহা হয়ে তেহরানে ফিরে গেছেন। বাকি তিনজন সেখানেই থেকে গেছেন অথবা তৃতীয় কোনো দেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কাতারের মধ্যস্থতায় সংঘটিত আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশ বন্দি বিনিময় ও ইরানের জব্দ করা সম্পদ ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে একমত হয়। মার্কিন মিত্র দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যাংকে ৬ বিলিয়ন ডলার জব্দ করা হয়েছিল, যা বন্দি বিনিময়ের পর কাতারের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে এ ঘটনাকে ‘মুক্তিপণ’ দেওয়ার সঙ্গে তুলনা করা হলে বাইডেন প্রশাসন এই সমালোচনাকে পাত্তা দেয়নি। তাদের মতে, এই অর্থ শুধু ‘মানবিক’ কাজে ব্যবহার হবে। যদি এই নির্দেশনা অমান্য করা হয়, তা হলে আবারও তা জব্দ করা হবে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। তবে ইরান দাবি করেছে, তাদের হাতে এখন এই অর্থের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
সময়ের আলো/আরএস/