ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে নগরবাসী, সমন্বিত পদক্ষেপ জরুরি
প্রকাশ: শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১২:১৩ এএম  (ভিজিট : ৫৪২)
বৃষ্টি নিয়ে ঢাকার অধিবাসীরা দোলাচলে থাকেন। গুমোট গরমের পর বৃষ্টি নিয়ে আসতে পারে স্বস্তির অবসর। বাঙালির সঙ্গে বৃষ্টির এক অপূর্ব সম্পর্ক রয়েছে। বাংলা সাহিত্যে বৃষ্টির অনেক অবদান রয়েছে। এক রবীন্দ্রনাথই তার বর্ষার গান দিয়ে প্রকৃতিকে অনুভব করার কত উপকরণ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রেখেছেন। বর্ষাকাল সাহিত্যিকদের খুব প্রিয় একটি ঋতু। কিন্তু বর্ষা পেরিয়ে যাওয়ার পর শরতে শুভ্র আকাশের প্রতিশ্রুতিকে পাশ কাটিয়ে বৃষ্টি এখন পত্রিকার পাতার বিষয় হয়ে উঠেছে। এ ঋতুতে যে বৃষ্টি হলো, কিংবা হচ্ছে কয়েক দিন ধরে, তা নিয়ে হয়তো কাব্য করা যায় কিন্তু বাস্তব অবস্থা তত প্রশান্তির নয়। 

বিশেষ করে, ঢাকা শহরে একটু জোর বৃষ্টিতেই জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। জলাবদ্ধতায় থমকে যায় নগরজীবন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীতে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সন্ধ্যা নামতেই শুরু হয় মুষলধারে বর্ষণ। চলতে থাকে রাত প্রায় সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। আর এতে ঢাকার বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। সাধারণত কোনো স্থানে তিন ঘণ্টার বেশি পানি জমে থাকাকে জলাবদ্ধতা হিসেবে চিত্রিত করা হয়। 

বৃহস্পতিবারের রাতের বৃষ্টিতে অলিগলিতে কোমর বা বুকসমান জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সময়ের আলোর সংবাদকর্মীরা সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখেছেন, প্রধান সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল অনেকটাই বন্ধ হয়ে ছিল। কোথাও কোথাও সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরবাইক পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘরমুখো মানুষগুলো যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেটকার কিংবা নানা যানবাহনের মধ্যে দীর্ঘ সময় আটকে ছিলেন। অনেকেই কোমরসমান পানি ভেঙেই বাসার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সড়কের পাশের খানাখন্দে পড়েও দুয়েকজনকে সম্পূর্ণ ভিজে যেতে দেখা গেছে। যানবাহন চলাচলে ধীরগতির কারণে শুরু হয় তীব্র যানজট। অনেকে বৃষ্টির কারণে শপিং মল, দোকান ও ফ্লাইওভারের নিচে আশ্রয় নেন। 

ঢাকার এই রূপ অবশ্য নতুন কিছু নয়। প্রতি বর্ষাতেই এ পরিস্থিতি দেখা যায়। নর্দমার নালিতে জট লেগে থাকা আর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার অদূরদর্শিতাই এ জলজটের মূল কারণ। কয়েক ঘণ্টা টানা বৃষ্টি পথচারী আর যানবাহনের যাত্রীদের জন্য অবর্ণনীয় দুর্ভোগ বয়ে আনে এই শহরে। 

ষড়ঋতুর এই দেশে প্রতি বছরই এমন বৃষ্টি হয় কিন্তু জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ শেষ হয় না। বাস্তবতা হচ্ছে, ঢাকা শহরে যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা আছে, তাতে জলাবদ্ধতায় আটকে থাকা পানি সঙ্গে সঙ্গে অপসারণের অবস্থা নেই। এ ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করতে হবে। সেই সঙ্গে সচেতন করতে হবে জনসাধারণকে। পলিথিন জাতীয় জিনিস ব্যবহারের পর যন্ত্রতন্ত্র ফেলার ব্যাপারে আমাদের সতর্ক হতে হবে। আমরা প্রত্যাশা করি, দুই সিটি করপোরেশন, জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলো সমন্বিতভাবে এ জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। 


সময়ের আলো/আরএস/ 





https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close