প্রকাশ: রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৮:৫৬ পিএম (ভিজিট : ৫৭৯)
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, আমরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, ছোট পরিসরে হলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক টিম নির্বাচনে থাকবে। এছাড়া ভিসা নীতি দুই দেশের সরকারের বিষয়। এটা যে দেশ সে দেশের নীতি এবং যে দেশের জন্য এটি করা হচ্ছে সেই দেশের সরকারের আলোচ্য বিষয়।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
আহসান হাবিব বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে না কেন, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে ইতোমধ্যে জানিয়েছে। তাদের বাজেট স্বল্পতার কথা জানিয়েছে। তবে পর্যবেক্ষক পাঠাবে না বলেনি। পূর্ণাঙ্গ দল পাঠাবে না বলে জানিয়েছে। ছোট করে পাঠাবে কী পাঠাবে না এটাও উল্লেখ করেনি।
তিনি বলেন, আমরা আশা করতে পারি, যত বেশি পর্যবেক্ষক ইলেকশন প্রসেসটা মনিটর করবে, সেটা অবজারভার দিয়ে হোক, সাংবাদিক হোক, যত বেশি থাকবে তা স্বচ্ছ হবে। আমাদের আশা সবসময় থাকবে। দেশি-আন্তর্জাতিক যত বেশি অবজারভার থাকবে, আমাদের জন্য ভালো হবে। নির্বাচন যত বেশি মনিটর হবে, তত আমাদের ওপর চাপ পড়বে। আমাদের মধ্যে উপলব্ধি থাকবে সবাই আমাদের দেখছে। এতে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।
বাংলাদেশে অবাধ, গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য মার্কিন ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়েছে। আপনারা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কী মনে করছেন, এ ভিসানীতি বাংলাদেশের নির্বাচনের পক্ষে-বিপক্ষে কী প্রতিক্রিয়া হতে পারে-এমন প্রশ্নের উত্তরে আহসান হাবিব বলেন, ভিসানীতি দুদেশের সরকারের বিষয়। তার কমিশন সাংবিধানিকভাবে যে দায়িত্ব রয়েছে সে কাজ করবে। আপনারা দেখবেন আমরা সঠিকভাবে কাজ করছি কি না। আমাদের পক্ষের যে কাজগুলো আছে হান্ড্রেডপার্সেন্ট পূরণ করছি কি না এটা আপনারা দেখবেন।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ইতোমধ্যে বাংলাদেশিদের জন্য ওই ভিসানীতি কার্যকর করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বলা হচ্ছে, তিন শতাধিক ব্যক্তি ওই তালিকায় রয়েছে।
ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী নভেম্বরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ডিসেম্বরের শেষ অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোটগ্রহণ করা হবে।
সময়ের আলো/এম