প্রকাশ: রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১০:২৬ পিএম (ভিজিট : ১২২৪)
নোঙর এর আন্দোলনের প্রেক্ষিতে নদীকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করেছে মহামান্য হাইকোর্ট। কিন্তু দখল-দূষণকারীদের কবলে পড়ে দেশের অধিকাংশ নদী হত্যা করার কাজ চলমান আছে। বিশ্ব নদী দিবসে নদী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘নদী একটি জীবন্ত সত্তা’ শীর্ষক আলোচনা সভা এবং শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে নোঙর সভাপতি সুমন শামস রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) এমন মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে নোঙর সভাপতি সুমন শামস বিজয়ী শিশু কিশোরদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, নোঙর এর আন্দোলনের প্রেক্ষিতে নদীকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করেছে মহামান্য হাইকোর্ট। কিন্তু দখল-দূষণকারীদের কবলে পড়ে দেশের অধিকাংশ নদী হত্যা করার কাজ চলমান আছে। নদীমাতৃক বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হলে দেশের সকল রাজনৈতিক দলের নিবার্চনী ইশতেহারে নদী ও প্রাণ প্রকৃতি নিরাপত্তার নিশ্চিয়তা নিশ্চিত করতে হবে। নদীমাতৃক বাংলাদেশের সকল নদী ও প্রাণ প্রকৃতি সংরক্ষণের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় এবং সকল শ্রেণির পেশার মানুষের সঙ্গে আগামী প্রজন্মের সংযোগ ঘটাতে হবে।
সভার শুরুতে বিজয়ী ১২ জন শিশু কিশোরদের হাতে পুরস্কা হিসাবে রংপেন্সিল, রংতুলি এবং ছবি আঁকার সরঞ্জাম তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির প্রধান নির্বাহী সৈয়াদা রিজওয়ানা হাসান বলেন, একটি নদী ধ্বংস করে আরেকটি নদী যেমন নির্মাণ করতে পারিনা, তেমনি একটি পাহাড়, পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতি ধ্বংস করে আমরা তা আবার নির্মাণ করতে পারিনা। তাই নদী ও প্রাণ প্রকৃতি সুরক্ষার জন্য নোঙর যে ধারাবাহিক কাজে নদী ও প্রাণ প্রকৃতি সুরক্ষায় গতি বাড়িয়ে দিয়েছে।
বিশেষ অতিথি রিভার এন্ড ডেলটা রিসার্চ সেন্টার এ-র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ বলেন, নদীকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় যে নিদর্শনা ঘোষণা করছে তা বাস্তবান করতে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। নদীকে জীবন্ত রাখার কোন বিকল্প নেই।
সময়ের আলো/জেডআই