ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

৩ মাস পর কোহিনূরের আত্মহত্যা রহস্য উদ্ঘাটন
স্বামী ও মেয়ে হত্যার পর আত্মহত্যার নাটক সাজায়
প্রকাশ: সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১২:১০ এএম  (ভিজিট : ২৯৪২)
তিনমাস পর কোহিনূর বেগমের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই )। কোহিনুরকে শ্বাসরোধে হত্যার পর আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে খোদ স্বামী ও পালিত মেয়ে। 

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ধানমন্ডি থানায় করা অপমৃত্যু মামলাটির তদন্ত দেয়া হয় পিবিআইকে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসে সম্প্রতি। ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় শ্বাসরোধ করে হত্যার চিহ্ন পাওয়া গেছে। 

পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলেন,  মামলাটি তদন্ত পাওয়ার পর লাশের সুরতহাল রিপোর্টে হত্যাকাণ্ডের মতো আলামত পাওয়া গেছে। কিন্তু ময়না তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত  তদন্ত করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, এটি আত্মহত্যা নয়, হত্যাকাণ্ড। পরে কোহিনুরের স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে হত্যার দায় স্বীকার করেন। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাদের পালিত মেয়েও ছিলেন।

কোহিনুরের স্বামী বি এম মামুন রশীদ চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এবং মেয়ে ফাইজা নূর রশীদ। তারা শ্বাসরোধে হত্যার পর আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। দুজনই এখন কারাগারে রয়েছেন। 

কোহিনূর বেগম হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলাটি এখন তদন্ত করছে পিবিআই ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগ।
এই সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১০ এপ্রিল ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের নিজ বাসা থেকে কোহিনূরকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান মামুন রশীদ। হাসপাতালে নেয়ার আগেই কোহিনূরের মৃত্যু হয়। 

পরে বিষয়টি পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ হাসপাতালে যান। সেখানে পুলিশকে বলেছিলেন, ঘটনার দিন বাজার থেকে বাসায় এসে দেখেন বাসার দরজা তালাবদ্ধ। পরে তার কাছে থাকা চাবি দিয়ে দরজা খুলে দেখেন স্ত্রী খাবারঘরে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলছে। এরপর তিনি সেখান থেকে কোহিনূরকে নামিয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ওই সময় তিনি পুলিশকে বলেন, স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ধানমন্ডির এই বাসায় থাকেন। তবে ঘটনার সময় সকালবেলা তিনি বাজারে ছিলেন আর দুই সন্তানই কর্মস্থলে ছিলেন। মামুন রশীদ পুলিশের কাছে দাবি করেছিলেন, বিষণ্ণতায় ভুগে তার স্ত্রী কোহিনূরে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
পিবিআই সূত্র জানায়,  মামলাটির তদন্ত পাওয়ার পর থেকেই কোহিনূরের মৃত্যু নিয়ে শুরুতেই তার ভাই বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সালাউদ্দিন রহমাতুল্লাহর সন্দেহ ছিল তার বোনকে হত্যা করা হয়েছে। 

সম্প্রতি ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসার পরই তিনি একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় কোহিনূরের স্বামী ও তার পালিত মেয়েকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

তারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। পিবিআই সূত্র জানায়, নিহত কোহিনূর বেগম সনামধন্য একাধিক ওষুধ কোম্পানিতে কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মেসি অনুষদ থেকে স্নাতকোত্তর করেছিলেন। তার স্বামী কে বি এম মামুন রশীদ চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এবং মেয়ে ফাইজা নূর রশীদ আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণাকেন্দ্র বাংলাদেশ-আইসিডিডিআরবি ঢাকার কর্মকর্তা।


সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close