প্রকাশ: শনিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৩, ২:১৫ এএম (ভিজিট : ২২০)

চার মাসের ব্যবধানে বাংলাদেশে একটি সরকারি ওয়েবসাইট থেকে আবারও নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মার্কিন প্রযুক্তি বিষয়ক সাময়িকী ওয়্যার্ডের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এবার যেসব তথ্য ফাঁস হয়েছে সেই তালিকা দীর্ঘ।
বৃহস্পতিবার ওয়্যার্ড ওই প্রতিবেদনে বলেছে, এবার তথ্য ফাঁসের ওই ঘটনা ঘটেছে সরকারি সংস্থা ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) একটি তথ্যভান্ডার থেকে। এই প্রতিষ্ঠান ফোনে আড়ি পাতার এখতিয়ার রাখে এবং আইনি কাঠামোর মধ্যে থেকে নজরদারি করে। এনটিএমসির পক্ষ থেকে অবশ্য তথ্য ফাঁসের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। ওয়্যার্ডের দাবি, নাগরিকদের নাম, পেশা, রক্তের গ্রুপ, মা-বাবার নাম, ফোন নম্বর, মোবাইল ফোন কলের দৈর্ঘ্য, গাড়ির নিবন্ধন, পাসপোর্টের বিবরণ ও আঙুলের ছাপের ছবিও বেহাত হয়েছে।
ওই প্রতিবেদন বলছে, মাসের পর মাস ধরে নাগরিকদের মোবাইল ফোন কল ও ইন্টারনেট কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহ করা গোয়েন্দা সংস্থা এনটিএমসি তার সিস্টেমে একটি অরক্ষিত তথ্যভান্ডারে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য রাখছে। গত সপ্তাহে অজ্ঞাত হ্যাকাররা উন্মুক্ত এই তথ্যভান্ডারে হাত দেয়। সিস্টেম থেকে বিপুল তথ্য চুরির দাবি করেছে তারা।
তবে প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যমটির এই খবর ‘সঠিক নয়’ বলে দাবি করেছেন এনটিএমসির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রকাশিত তথ্য সঠিক নয়। এটা স্যাম্পল ডাটা, স্যাম্পল ডাটা সবসময় আরঅ্যান্ডডির জন্য নেওয়া হয়। দিস ইজ নট আরজিনাল ডাটা।’
এর আগে বাংলাদেশের সরকারি একটি ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার খবর দিয়েছিল আমেরিকান ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চ। সেবার বাংলাদেশি নাগরিকদের সম্পূর্ণ নাম, ফোন নম্বর, ইমেইল ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরসহ ব্যক্তিগত তথ্য উন্মুক্ত হয়েছিল ইন্টারনেটে। পরে জানা গিয়েছিল, তথ্য উন্মুক্ত হয়ে পড়ার ওই ঘটনা ঘটেছে জাতীয় জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন ওয়েবসাইট থেকে।
সময়ের আলো/আরএস/