প্রকাশ: রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৩, ১২:৪১ এএম (ভিজিট : ১৪৬)

ক্রিকেটের প্রথম বিশ্বমঞ্চেই ১৯৭৫ সালে ফাইনালে ওঠে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ক্লাইভ লয়েডের দুর্দান্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে পেরে ওঠেনি তখনকার ইয়ান চ্যাপেলের দল। পরের দুই বিশ্বকাপে ফাইনালের আগেই দর্শক বনে যায় অজিরা। তাদের ভাগ্য খোলে ১৯৮৭ সালে উপমহাদেশের অভিষেক বিশ্বকাপে। সেবার অ্যালান বোর্ডারের নেতৃত্বে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া। এরপর বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় পরাশক্তি হয়ে ওঠে অজিরা। তাদের নামের পাশে পাঁচ-পাঁচটি বিশ্বকাপ ট্রফি। ভারতের মাটিতে এবার ষষ্ঠ শিরোপা জয় থেকে এক পা দূরত্বে অজি বাহিনী। সেটি নিশ্চিত করতেই মরিয়া দলটির বর্তমান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
ফাইনাল জিতলে বোর্ডার, স্টিভ ওয়াহ, রিকি পন্টিং, মাইকেল ক্লার্কদের মতো বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের তালিকায় নাম উঠে যাবে কামিন্সের। শনিবার ফাইনাল পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে শিরোপা স্বপ্নে বিভোর কামিন্স বলেন, বিশ্বকাপ জেতাটা আমার জন্য দারুণ একটা ব্যাপার হবে। ১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৭ সালে আমি ছোট ছিলাম। আগামীকাল (আজ) আমাদের জন্য এমন সুযোগ, যা সত্যিই উত্তেজনাপূর্ণ। বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক হওয়াটা ‘বিশেষ কিছু’ হবে আমার জন্য। ছেলেদের সঙ্গে ট্রফি উঁচিয়ে ধরাটা হবে পরম আরাধ্যের বিষয়। এখন আমি তেমন কিছুর সামনে রয়েছি, যা নিয়ে আমাদের দীর্ঘ এবং সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে।’
এদিকে চলতি বিশ্বকাপে গ্যালারিতে দেখা গেছে দুই রকম চিত্র। ভারত বাদে অন্য ম্যাচগুলোতে ছিল প্রায় শূন্য গ্যালারি। স্বাগতিকদের ম্যাচে ছিল আবার বিপরীত দৃশ্য। উপচে পড়া ভারতীয় সমর্থকদের ভিড়ে প্রতিপক্ষ দলের ভক্তদের খুঁজে পাওয়াই ছিল দুষ্কর। যেমনটা হয়েছিল ৫ নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় ভারত-অস্ট্রেলিয়ার লিগপর্বের প্রথম ম্যাচে। চেন্নাইয়ে রোহিত শর্মার দলের সমর্থকদের ছিল একচ্ছত্র আধিপত্য। ফাইনালেও যে নীলের ভিড়ে পাত্তা পাবে না হলুদ জার্সিধারী সমর্থকরা, সেটা বলাই যায়। ঘরের মাঠের দলটি পাবে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার দর্শকের সমর্থন। এটা জানেন কামিন্সও। তবে ম্যাচটি যখন ফাইনাল তখন কোনো কিছুতেই বাড়তি চিন্তা নেই তার। ভারতের বিশাল সমর্থকদের চুপ করিয়ে দেওয়ার মধ্যেই আনন্দ খুঁজে নিতে চান কামিন্স। তিনি বলেন, ‘এত বিশাল সমর্থকদের চুপ করিয়ে দেওয়ার চেয়ে তৃপ্তি আর কিছুতে নেই। আমরা ভারতে প্রচুর ম্যাচ খেলেছি। তাই ওদের সমর্থকদের মোকাবিলা করা আমাদের জন্য নতুন কিছু নয়। দর্শক সমর্থন হবে খুবই একপেশে। তবে এটা খেলারই অংশ। যা কিছু ঘটুক তার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কোনো অনুশোচনা ছাড়া দিনটিকে আমাদের শেষ করতে হবে।’
সময়ের আলো/আরএস/