প্রকাশ: রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৩, ১২:৫০ পিএম (ভিজিট : ২৫৮)

একটু সুখের আশায় সহায়সম্বল বিক্রি করে, লাখ লাখ টাকা খরচ করে আরব আমিরাতে এসেও দালালের খপ্পরে পড়ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এতে দুই থেকে চার মাসের বেশি সময় বেকার থাকছেন অনেকে।
জীবিকার তাগিদে বাড়ি ঘর মা বাবা আত্বীয়স্বজন ছেড়ে দূর প্রবাসে পাড়ি জমালেও সেখানে সংশয় কাটছে না তাদের। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হচ্ছে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন ভুক্তভোগী প্রবাসীরা।
নিয়মনীতি মেনে দালালরা কৌশলে ফ্রি ভিসাকে কন্ট্রাক্ট ভিসা বলে চালিয়ে দিলেও আরব আমিরাতের দুবাইয়ে এসে কাজ পাচ্ছেন না অনেকে। পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বেকার ও অসহায় শ্রমিকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
ভুক্তভোগীরা জানান, বিভিন্ন দেশের দালালের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশিরাও। চক্রটির একটি অংশ বাংলাদেশে ভিসা বিক্রি করে, আরেকটি দুবাই থেকে ভিসা সংগ্রহ এবং অন্যটি বেকার অসহায় শ্রমিকদের কাজের প্রলোভন দেখিয়ে সর্বস্বান্ত করে। প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বস্ব হারিয়ে অনেক শ্রমিক দেশে ফিরলেও টনক নড়ছে না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।
ভুক্তভোগী চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থানার সজিব আহম্মদ বলেন, দুবাই এসেছি আর্মেনিয়া ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে। এখানে আসতে ৪ লাখ টাকার ওপর খরচ হয়েছে। গত ৪ মাস বেকার বসে আছি।
ভুক্তভোগী খায়রুল আলম সেজু ও মিরাজ হোসেন জানান, দুবাইতে ক্লিনার কাজের ভালো ভিসা আছে বলে আমাদের দুবাই পাঠায়, দেশে থাকতে টাকা নেয়। আমাদের বলেছিল, দুবাই আসলে তার লোকজন আছে, আমাদের থাকা খাওয়া সহ সব কিছুর ব্যবস্থা করে দেবে অথচ এখানে এসে আমরা একবারে অসহায় হয়ে গেছি।
মেহেদী হাসান নামের একজন আকুতি করে ফেসবুকে লিখেন, বাবার স্বপ্ন পূরনের জন্য ইউরোপ যাবো বলে সঞ্চিত টাকা জুয়েল তালুকদার নামের এক দালালকে দেই। সেই জুয়েল দালাল আমাকে দুবাই এনে সে আমার টাকা নিয়ে বাড়ি চলে যায়। এমনকি কেউ নেই যে আমার টাকাগুলো উদ্ধার করে দেবে! আমার মত কয়েকজনকে সে এভাবে এনে বিপদে ফেলেছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পাসপোর্টে থাকা ভিসায় উল্লেখিত কফিল বা কোম্পানি তাদের কোন খবর নিচ্ছে না। এমনকি অনেককে এয়ারপোর্ট থেকেই বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে অন্য সাপ্লাইয়ারের কাছে।
জনশক্তি রফতানিতে খরচ ও দালালের দৌরাত্ম্য কমানো এবং প্রতিশ্রুত কোম্পানিতে কাজ ও ন্যায্য বেতন নিশ্চিতে সরকারকে যথাযথ উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সময়ের আলো/এএ/