নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কিছু রাজনৈতিক দল ধ্বংসাত্মক কর্মসূচির পথ বেছে নিয়েছে। যাকে অর্থনীতির জন্য বড় হুমকি বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। দেশের বিরাজমান বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জেলা, উইমেন ও মেট্রোপলিটন চেম্বারগুলোর নেতাদের সঙ্গে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের মতবিনিময় সভায় এ মত ব্যক্ত করেন ব্যবসায়ী নেতারা।
রোববার রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত এফবিসিসিআই কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় দেশের শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, পণ্য উৎপাদন, রফতানি এবং সরবরাহ ব্যবস্থায় চলমান রাজনৈতিক সহিংসতার নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় সারা দেশের জেলা চেম্বারগুলোকে সঙ্গে নিয়ে এফবিসিসিআইকে ধ্বংসাত্মক সব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলে মত দেন বক্তারা।
সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখা কঠিন হবে। অর্থনীতিকে সচল রাখার স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে সহিংস কর্মসূচি থেকে বিরত থাকতে হবে। দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় কোনো ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা চান না।
যেকোনো সহিংস কর্মসূচিতে সবার আগে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা, এমন দাবি করে সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এবং এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি খায়রুল হুদা চপল বলেন, ‘আমরা হরতাল-অবরোধ চাই না। চলমান ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের পর আবারও যদি নতুন করে হরতাল বা অবরোধ দেওয়া হলে, এর প্রতিবাদে এফবিসিসিআইর নেতৃত্বে সারা দেশের ব্যবসায়ীদের নিয়ে আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির উদ্যোগ নিতে পারি।’
গাজীপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এবং এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কিছু মহল ধ্বংসাত্মক কর্মসূচির পথ বেছে নিয়েছে। যা অর্থনীতির জন্য বড় হুমকি। সারা দেশের জেলা চেম্বারগুলোকে সঙ্গে নিয়ে এফবিসিসিআইকে এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি। ঐক্যবদ্ধ হয়ে হয়ে চলমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বলে জানান এফবিসিসিআইর আরেক সহ-সভাপতি মো. মুনির হোসেনও।
মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন এফবিসিসিআইর বর্তমান ও সাবেক পরিচালকরা। সারা দেশ থেকে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, কিশোরগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, রংপুর উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, পটুয়াখালী উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ঢাকা উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, জয়পুরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিসহ অন্যান্য চেম্বারের নেতারা উপস্থিত ছিলেন এ মতবিনিময় সভায়।
সময়ের আলো/আরএস/