প্রকাশ: সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৩, ৮:১৫ পিএম আপডেট: ২০.১১.২০২৩ ৯:০৬ পিএম (ভিজিট : ১৫১)

রংপুরে বিস্ফোরক আইনে পুলিশের দায়ের করা মামলায় মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন-নবী ডন ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকুসহ পাঁচ নেতাকর্মীকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক কৃষ্ণ কান্ত রায় এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন-নবী ডন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
অন্য দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ জহির আলম নয়ন ও জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি তারেক হাসান সোহাগ ও যুবদল নেতা আরিফ হোসেন।
এ মামলায় মোট সাতজনকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে রংপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রইচ আহমেদ ও জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সামসুল হক ঝন্টু মৃত্যু বরণ করেন ।সংগত কারণেই মৃত দুই নেতাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৯ মে বিএনপির হরতাল-অবরোধ চলাকালে রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সংলগ্ন এলাকায় আসামিরা বিভিন্ন বিস্ফোরকসহ নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে একত্রিত হয়। সেখানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আসামিদের হাতেনাতে আটক করাসহ ৫৬টি পটকা বোমা উদ্ধারসহ জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় তৎকালীন কোতোয়ালি থানা পুলিশের এসআই চন্দন কুমার চক্রবর্তী বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ধরে মামলার সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আজ সোমবার আদালত এই রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার বলেন, অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামিদের ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আফতাব হোসেন বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ যে সাক্ষী উপস্থাপন করেছেন আদালতে তারা ভিন্ন ভিন্ন সাক্ষ্য দিয়েছেন। কাজেই এটা বোঝা যায় একটি সাজানো মামলা। এছাড়া আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেননি।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই রায়ে জাতি হতবাক হয়েছে। আদালতকে ব্যবহার করে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে সরকার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে চাচ্ছে।
রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথাও জানান আসামিপক্ষের এই আইনজীবী।
সময়ের আলো/এম