প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৩, ৩:১৮ এএম আপডেট: ২১.১১.২০২৩ ১২:৫৫ পিএম (ভিজিট : ১৭০)
চলতি সময়ের অভিনেত্রী তাহমিনা অথৈ। নাটক ও চলচ্চিত্র দুই মাধ্যমেই অভিনয় করেছেন তিনি। প্রথমবারের মতো চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত দ্বিতীয় সিনেমা ‘আজব ছেলে’। নতুন সিনেমা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন মাসুদুর রহমান
‘আজব ছেলে’ সিনেমার প্রতিক্রিয়া কেমন পাচ্ছেন?
প্রথম দিন প্রথম শো দেখেছি দর্শকদের সঙ্গে। দর্শকদের সঙ্গে সিনেমা দেখলে সরাসরি প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়। ছবিটির শেষ দিকে এসে দর্শকরা কেঁদেছেন। আমিও কেঁদেছি। দর্শকরা ছবিটির প্রশংসা করেছেন। সবাই ন্যাচারাল অভিনয় করেছে। এ ধরনের সিনেমা আরও হওয়া উচিত বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন।
হল সংখ্যা এত কম কেন?
এটা আমি বলতে পারব না। প্রযোজক-পরিচালকরা হয়তো বলতে পারবেন। প্রথম দিকে শুনেছিলাম বেশ কয়েকটি সিনেমা হলে মুক্তি পাবে ‘আজব ছেলে’। কিন্তু শেষমেশ দুটি মাল্টিপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে। সিঙ্গেল স্ক্রিনের দর্শকরা সিনেমাটি দেখার সুযোগ পাচ্ছে না। সিঙ্গেল স্ক্রিনে মুক্তি না পেলে ছবি সম্পর্কে দর্শকের ধারণা থাকবে না। কারণ সিংহভাগ দর্শক সিঙ্গেল স্ক্রিনের। তবে এ ধরনের সিনেমা সবসময়ই খুব কমসংখ্যক হলে মুক্তি পায়।
এটা শিশুতোষ চলচ্চিত্র?
প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবালের ছোটগল্প অবলম্বনে ছবিটি নির্মাণ করেছেন মানিক মানবিক। শিশুতোষ চলচ্চিত্র হলেও এটি সব বয়সি দর্শকের জন্য। সিনেমার গল্পে হাসি আছে আবার কান্নাও আছে। ছোটদের কথার পাশাপাশি বড়দের কথাও বলা হয়েছে। সিনেমায় কিছু শিক্ষণীয় বিষয়ও তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমানে আমাদের চলচ্চিত্রাঙ্গনে শিশুতোষ চলচ্চিত্রের খুব অভাব।
তৌকীর আহমেদের বিপরীতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
অত্যন্ত ভালো। এই সিনেমায় আমি তৌকীর আহমেদ ভাইয়ের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছি। তার মতো বড় মাপের একজন অভিনেতার সঙ্গে কাজ করা সত্যিই আমার জন্য অনেক কিছু। তৌকীর ভাই গুরুগম্ভীর মানুষ। শুরুতে নার্ভাস থাকলেও তিনিই আস্তে আস্তে আমাকে সহজ করেছেন। তার সঙ্গে কাজ করে অভিনয়ের খুঁটিনাটি বিষয় শিখেছি। তিনি কাজ করার সময় বেশ সহযোগিতা করেছেন। অত্যন্ত ভদ্র, বিচক্ষণও। এখানে অনেক মেধাবী কাজ করেছেন। মেধাবীদের সঙ্গে থাকলে অনেক কিছু শেখা যায়।
দ্বিতীয় সিনেমায় চরিত্রের ভিন্নতা কতটুকু পেলেন?
প্রথম সিনেমা সাইদুল আনাম টুটুল পরিচালিত ‘কালবেলা’। সেখানে আমি সানজিদা চরিত্রে অভিনয় করেছি। আর ‘আজব ছেলে’ সিনেমায় আমার চরিত্রের নাম মলি। যিনি একজন দায়িত্ববান, উদার ও মানবিক নারী। প্রথম সিনেমার সঙ্গে দ্বিতীয় সিনেমার কোনো মিল নেই। একেবারেই ভিন্ন। আমি আসলে ভিন্ন গল্প ও চরিত্র খুঁজি। যে চরিত্রের মাধ্যমে দর্শক আমাকে মনে রাখবেন। দর্শকের ভালোবাসা মিলবে এমন চরিত্র প্রত্যাশা করি সবসময়।
নতুন কী কাজ করছেন?
একটি ওয়েব সিরিজে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। চলতি মাসেই শুটিং শুরু হবে। এটি আমার ওটিটিতে প্রথম কাজ। এছাড়া সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকীর পরিচালনায় ‘অপরাজিত একা’ সিনেমার শুটিং শেষ করেছি। কিন্তু মুক্তির আগেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন জাকি স্যার। এছাড়া ‘চট্টলা এক্সপ্রেস’-এর শুটিং বাকি আছে।
নাটকে দেখা যায় না কেন?
সব মাধ্যমে কাজ করা কঠিন। তাতে এলোমেলো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে নাটকে কাজ করলেও এখন চলচ্চিত্র নিয়েই ভাবছি। চলচ্চিত্রের প্রতিই আমার ভালোবাসা বেশি। তবে ভালো গল্প, পরিচালকের নাটকের প্রস্তাব পেলে অভিনয় করতে আপত্তি নেই।
সময়ের আলো/জেডআই