প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৩, ৩:৫৮ এএম (ভিজিট : ১৭০)
গাজার উত্তরাঞ্চলে ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ইসরাইলের বোমা হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছেন। গাজার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিহতের এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসক ও রোগী আছেন। এদিকে সবমিলে ইসরাইলি অভিযানে গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৩ হাজারে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
গাজার উত্তরাঞ্চলে বড় হাসপাতালগুলোর একটি ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, রোববার কোনো ধরনের পূর্বসতর্কতা না দিয়ে ইসরাইলি বাহিনী ট্যাঙ্ক নিয়ে হাসপাতালটি ঘিরে ফেলে এবং হামলা চালায়।
গাজায় নিযুক্ত আলজাজিরা প্রতিনিধি সাফওয়াত আল কাহলুত বলেছেন, মনে হচ্ছে আল-শিফা হাসপাতালে যা ঘটেছে ইসরাইলি বাহিনী তারই পুনরাবৃত্তি ঘটাতে যাচ্ছে এবার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে। তারা ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালটিও দখল করে নিতে পারে।
হামলায় হাসপাতালটির জেনারেটর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। বোমা হামলা চলার মধ্যে মুঠোফোনের আলো ব্যবহার করে চিকিৎসাকর্মীরা রোগীদের অস্ত্রোপচার করতে বাধ্য হয়েছেন। ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যম ওয়াফার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি গোলার আঘাতে হাসপাতালের তৃতীয় তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কুদরা বলেছেন, হাসপাতালটির অবস্থা বিপর্যয়পূর্ণ। ইসরাইলি বাহিনী ক্রমেই হামলা জোরদার করছে। তবে হাসপাতালটির কর্মীরা বলেছেন, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিতে তারা হাসপাতালে থেকে যাবেন। হাসপাতালের ভেতরে চিকিৎসা কর্মী, আহত ব্যক্তিসহ প্রায় ৭০০ মানুষ অবস্থান করছেন বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
রোববার গাজা সরকারের গণমাধ্যম কার্যালয় জানায় নিহত ১৩ হাজার ফিলিস্তিনির মধ্যে ৫ হাজার ৫০০টির বেশি শিশু রয়েছে। আর নারী ৩ হাজার ৫০০ জন। গাজা সরকারের গণমাধ্যম কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, উপত্যকায় আহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আহত মানুষের মধ্যে ৭৫ শতাংশের বেশি শিশু ও নারী।
গাজা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিখোঁজ ব্যক্তির সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে। তাদের বেশিরভাগই ইসরাইলি হামলায় বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। গাজা সরকারের গণমাধ্যম কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরাইলের হামলায় ৪৩ হাজারের বেশি আবাসন ইউনিট পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত আবাসন ইউনিটের সংখ্যা ২ লাখ ২৫ হাজার। এর মানে গাজা উপত্যকার ৬০ শতাংশ আবাসিক ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সময়ের আলো/জেডআই