প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৩, ৭:২৭ পিএম (ভিজিট : ৪৯১)
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল আরেফিন।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। এরপর বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে মিরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা ছাড়াও জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কামরুল আরেফিন দৈনিক সময়ের আলোকে বলেন, ‘আমি উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কুষ্টিয়ার-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে নির্বাচন করব এবং এ নির্বাচনে জয়লাভও করব, ইনশাআল্লাহ।’
তিনি আরও বলেন, ‘কুষ্টিয়া-২ আসনটি ফাঁকা রাখা হয়েছে। যদি আমাকে দল নৌকা দেয় তাহলে আমি দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করব। আর দল না দিলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করব। আর সেজন্যই আজ পদত্যাগ করলাম। আমাদের দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি ঘোষণা দিয়েছেন নির্বাচন উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা-পূর্ণ হতে হবে। তাই আমি উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে জনতার কাতারে চলে এসেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই আসনে জাসদ নেতা ইনু সাহেব আওয়ামী লীগের ৮০ ভাগ ভোটের ওপর ভর করে বিগত তিনবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এ বছর উনার (ইনুর) ২০ ভাগ ভোট নিয়ে এবার নির্বাচন করতে হবে। তার সময় মিরপুর ভেড়ামারায় আওয়ামী লীগের চারজন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাকে আর এমপি হিসেবে দেখতে চায় না। দুই উপজেলার নেতাকর্মীরা মুখিয়ে আছে আমাকে ভোট দেওয়ার জন্য। দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের নেতা আমি, আমি জনগণের সঙ্গে থাকতে চাই।’
প্রসঙ্গত, সবশেষ তিনটি নির্বাচনে পর পর কুষ্টিয়া-২ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে তথ্যমন্ত্রী হন তিনি। পরপর তিনটি নির্বাচনেই আওয়ামী লীগের নৌকা নিয়ে দলটির নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় নির্বাচিত হন ইনু।
কুষ্টিয়া-২ আসনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি। আসনটি এখনও ফাঁকা রাখা হয়েছে। ইনুকে ছাড় দেওয়ার জন্য আসনটি ফাঁকা রাখা হয়েছে বলে মনে করছেন দলটির নেতারা। বিএনপি-জামায়াত না আসায় এবার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা ইনুকে ছাড় না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নেতাকর্মীদের মতামত নিয়ে কামরুল আরেফিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
মিরপুর ও ভেড়ামারায় কামরুলের বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে। পরপর দুটি উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটে জয়ী হন তিনি।
সময়ের আলো/আরআই