ক্রিকেটে এমন কোনো ট্রফি নেই যা জেতেনি অস্ট্রেলিয়া। তাদের অর্জনের ঝুলিটা অবিশ্বাস্য। সবশেষ ছয় মাসে সেটি আরও সমৃদ্ধ হয়েছে। জুন-জুলাইয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুট পড়ার পর ইংল্যান্ডে অ্যাশেজ ধরে রাখে অস্ট্রেলিয়া। কয়েক দিন আগে তারা ষষ্ঠবারের মতো ঘরে তুলেছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। সব অর্জনই এসেছে প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বে। এরপর থেকে প্রশংসায় ভাসছেন ৩০ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার। অধিনায়কের প্রশংসায় মাতলেন মিচেল স্টার্কও। তারকা এই বাঁহাতি পেসারের মতে, সেরা একটি বছর কাটিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, যার সিংহভাগ কৃতিত্ব কামিন্সের কুশলী নেতৃত্বের।
ভারত থেকে বিশ্বকাপ জিতে কয়েক দিন আগে ঘরে ফিরেছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। মঙ্গলবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে হয়েছে ট্রফি প্রদর্শনী। সেখানে কামিন্সের সঙ্গে ছিলেন স্টার্কও। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই গতিতারকা বলেন, ‘আমি মনে করি সে (কামিন্স) অসাধারণ ছিল। সবশেষ দুই মাসে সে অস্ট্রেলিয়াকে অনেক কিছু এনে দিয়েছে। ওকে নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, কিন্তু এসব আমলে নেয়নি সে। কিন্তু আমি জানি, এসব সে নিজের ভেতরে অনুভব করেছে, সেটা প্রকাশ করেনি।’
বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা সুখকর ছিল না। পরপর দুটি ম্যাচ হেরে সেমিফাইনালের সমীকরণ কঠিন করে ফেলে তারা। তবে অস্ট্রেলিয়াকে সঠিক পথে রাখতে অবদান রাখেন অধিনায়ক কামিন্স। এ নিয়ে স্টার্ক বলেন, ‘প্যাটি (কামিন্স) সবসময় আমাদের আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। ওখানে (বিশ্বকাপে) আমি খুব ভালো খেলিনি। আমার মনে হয়, সে আমার সঙ্গে একমত হবে। তবে আমাদের তিনজনের (কামিন্স-স্টার্ক-হ্যাজলউ) জুটিতে বোঝাপড়া ছিল।’
এমতাবস্থায় কামিন্স তার দায়িত্বটা দারুণভাবে সামলেছেন বলেই মনে করছেন স্টার্ক, ‘ওর অধিনায়কত্ব অসাধারণ ছিল। বিশেষ করে সেই ম্যাচ (ফাইনাল), যেটা নিয়ে অনেক বেশি আলোচনা হচ্ছে। সেদিন ও কেবল খেলাটি ভিন্নভাবে খেলতে চেয়েছিল। সে যথেষ্ট সাহসিকতা দেখিয়েছে। বোলিংয়ে স্পেল পরিবর্তন ছিল অন্য পর্যায়ের। তার নেতৃত্বে খেলাটা উপভোগ করেছি এবং আমি চাই এটা আরও দীর্ঘ দিন চলুক।’