ই-পেপার শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গ্রেফতার ২ আসামির জবানবন্দি
পরকীয়া প্রেমের বিষয় ফাঁস করায় হত্যা শিকার হন রুমান
প্রকাশ: বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩, ৭:০০ পিএম  (ভিজিট : ৪৫২)
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বাঘাশুর পশ্চিম পাড়া এলাকার সিংহ নদী থেকে মার্চ মাসে অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। হত্যা ও লাশ গুমে জড়িত দুজনকে গ্রেফতারের পর সংস্থাটি বলছে, পরকীয়া প্রেমের বিষয় স্থানীয়দের কাছে ফাঁস করে দেওয়ায় এই হত্যাকাণ্ড।

গত ২২ নভেম্বর তাদের গ্রেফতার করে পিবিআই। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আখি আক্তার (২৪) ও আলাল মোল্লা (৩৫)। এই ঘটনায় আখির স্বামী ওমর ফারুক আগেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। গ্রেফতার দুই আসামি রুমানকে হত্যার বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। নিহত রুমান একই এলাকার আবু সিকদারের ছেলে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআইয়ের সদরদফতরে পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) কুদরত-ই-খুদা এতথ্য জানিয়েছেন। এসপি কুদরত বলেন, আখির স্বামী ওমর ফারুক প্রবাসী। এই সুযোগে প্রতিবেশী রুমানের সঙ্গে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন আখি। বিষয়টি জানতে পেরে দেশে ফারুক দেশে এসে স্ত্রী আখিকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। একপর্যায়ে দুই পরিবার মিলমিশ করে দিলেও কদিন না যেতেই রুমানের সঙ্গে পালিয়ে যায় আখি। এসময় স্থানীয়রা রুমানকে তার প্রেমিকা আখিকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ অবস্থায় আখি তার সমস্ত অন্যায়ের জন্য স্বামী ফারুকের কাছে ক্ষমা চেয়ে সংসারে ফেরেন। তবে পরকীয়ার বিষয়টি রুমানকে গোপণ রাখতে অনুরোধ করেন আখি ও তার স্বামী ফারুক। কিন্তু রুমান বিষয়টি এলাকায় বলে দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২২মার্চ রাতে বাসায় ডেকে নিয়ে তাকে হত্যা করে। পরে লাশ বস্তাবন্দী করে গুমের উদ্দেশ্যে প্রতিবেশী আলাল মোল্লার সহযোগিতায় বাড়ির পাশের সিংহ নদীতে মাটি চাপা দেয়।

লাশ উদ্ধার ও শনাক্ত

লাশ গুমের মাসখানেক পর ২১ মে সিংহ নদী খনন করার সময় ভেকুতে অজ্ঞাতনামা কঙ্কাল উঠে আসে। পরে স্থানীয়রা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করে জানালে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা পুলিশ কঙ্কালের সঙ্গে অস্পষ্ট নেভী ব্লু রংয়ের শার্টের অংশ বিশেষ উদ্ধার করে। কঙ্কালের সঙ্গে সেই শার্ট দেখে নিহতের স্ত্রী-সন্তানরা প্রাথমিকভাবে লাশ রুমানের বলে দাবি করেন। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে ডিএনএস সংগ্রহ করে সিআইডিতে পাঠানো হয়। ডিএনএ পরীক্ষায় রুমানের পরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ। এ সময় কঙ্কালের সুরতহাল প্রস্তুতকারী কর্মকর্তা দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার এসআই মাইদুল বাদি হয়ে হত্যা মামলা করেন। সেই মামলার পাঁচ মাস থানা পুলিশ তদন্ত শেষে দায়িত্ব পায় পিবিআই। তার কয়েক মাসের মধ্যে পিবিআই মামলার রহস্য উন্মোচন করে আসামিদের গ্রেফতার করেছে।

সময়ের আলো/জেডআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  যুবকের মরদেহ   পিবিআই   পরকীয়া প্রেমে  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close