ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

রাজনৈতিক কারণেই এই হুমকি, ধারণা ব্যবসায়ীদের
মার্কিন শ্রম অধিকার নীতি : শঙ্কা জানিয়ে দূতাবাসের চিঠি
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৩, ১:০৭ এএম  (ভিজিট : ৫২৬)
অতি সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার যে শ্রম অধিকার নীতি গ্রহণ করেছে তাতে বাংলাদেশের ‘শঙ্কিত হওয়ার কারণ রয়েছে’। এমন উদ্বেগের কথা জানিয়ে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের দূতাবাস ঢাকায় সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। এতে সতর্ক করে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্প্রতি যে স্মারক ঘোষণা করেছেন, বাংলাদেশ তার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে এবং শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘিত হলে এ নীতি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কিংবা রাষ্ট্রের ওপর আরোপের সুযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশ দূতাবাসের এ চিঠির পর দেশের গার্মেন্টস খাতের উদ্যোক্তাসহ রফতানিকারকরা চরমভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তবে তারা বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শ্রম অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার যেসব বিষয় উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশে সে রকম কোনো শ্রম অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়নি। তাই যুক্তরাষ্ট্র যদি বাংলাদেশের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়, সেটি শ্রম অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার কারণে নয়, হবে রাজনৈতিক কারণে। অবশ্য যদি শেষ পর্যন্ত দেশটি এ রকম কোনো ব্যবস্থা নিয়েই ফেলে তা হলে সেটি দেশের জন্য, দেশের গার্মেন্টস খাতসহ রফতানি বাণিজ্যের ওপর-সর্বোপরি দেশের অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

অবশ্য শ্রমিক নেতারা বলছেন, বাংলাদেশে শ্রম অধিকার ক্ষুণ্ন একেবারে হয় না তেমনটি বলা যাবে না। কারণ সম্প্রতি গার্মেন্টস খাতের মজুরি ইস্যুতে শিল্পে যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছিল, সে সময় শ্রমিকদের ওপর হামলা হয়েছে, মারধর করা হয়েছে এবং চারজন শ্রমিক নিহতও হয়েছেন। এ ছাড়া অসংখ্য মামলা হয়েছে শ্রমিকের নামে। মোট ১৪ জন শ্রমিক ও শ্রমিক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা এখনও জেলে রয়েছেন। এসব তথ্য অবশ্যই মার্কিন সরকারের কাছে গেছে এবং তারা হয়তো এ বিষয়ে আরও অনেক তথ্যও নিয়েছে। তাই মার্কিন সরকারের এ হুমকি শঙ্কিত হওয়ার মতো এবং দেশের গার্মেন্টস খাতের জন্য বড়ই উদ্বেগের।

এ বিষয়ে গার্মেন্টস শ্রমিক নেতা এবং বাংলাদেশ অ্যাপারেল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি তৌহিদুর রহমান সময়ের আলোকে বলেন, ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস চিঠি দিয়ে যে শঙ্কার কথা বলেছে, সেটি নিয়ে আমি খুবই উদ্বিগ্ন। কারণ দেশটি যদি শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ওপর শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা নিয়েই নেয় তাতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের প্রধান রফতানি খাত তৈরি পোশাক শিল্প। ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এ খাতের উদ্যোক্তারা এবং ৪৪ লাখ শ্রমিকও। তাই আমি মন থেকে চাই, মার্কিন প্রশাসন যেন বাংলাদেশের ওপর শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা না নেয়।

এই শ্রমিক নেতা আরও বলেন, ‘দেশের গার্মেন্টস মালিকদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে-দেশে শ্রমিকের কোনো অধিকার নাকি ক্ষুণ্ন হয় না। আমি তাদের সঙ্গে একমত নই। কারণ গার্মেন্টস খাতের শ্রমিকরা এখনও স্বাধীনভাবে ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার পাননি। যেসব কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন রয়েছে তার অধিকাংশই কারখানা মালিকের পছন্দের লোক দ্বারা পরিচালিত। এতে শ্রমিকরা প্রকৃত অর্থে ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার পান না। তার চেয়ে বড় কথা হলো-মজুরি ইস্যুকে ঘিরে সম্প্রতি গার্মেন্টস শ্রমিকদের ওপর যেভাবে হামলা-মামলা হয়েছে সেগুলোও দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে। এ সময়ে চারজন গার্মেন্টস শ্রমিক নিহত হয়েছেন। অসংখ্য শ্রমিকের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা এখনও জেলে। এর মধ্যে ৯ জন রয়েছেন গার্মেন্টস শ্রমিক এবং ৫ জন রয়েছেন শ্রমিক নেতা। আবার জেলে থাকা শ্রমিক নেতাদের একজন হচ্ছেন জুয়েল। যিনি বাংলাদেশ মুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ইউনিয়ন ফেডারেশনের নেতা। এ সংগঠনটি আমেরিকার একটি সংস্থার সঙ্গে কাজ করে এবং সেখান থেকে তারা অর্থ পায়। কাজেই এসব বিষয় হয়তো মার্কিন প্রশাসন ইতিমধ্যেই জেনেছে। তার আলোকেই হয়তো তারা এ ধরনের হুমকি দিচ্ছে। তাই আমি বলব, গ্রেফতার করা ১৪ শ্রমিক ও নেতাকে দ্রুত ছেড়ে দেওয়া হোক এবং মামলা প্রত্যাহার করা হোক।

অবশ্য গার্মেন্টস মালিক এবং বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ নেতারা বলছেন, বাংলাদেশে কোনো রকম শ্রম অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়নি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম সময়ের আলোকে বলেন, ‘এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীও শ্রম অধিকার ইস্যু নিয়ে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছিলেন। যদিও সেখানে বাংলাদেশ বা অন্য কোনো দেশের নাম উল্লেখ করা হয়নি। এরপর এখন আবার ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে শঙ্কার কথা বলে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আসলে এসব বিষয় নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই। কারণ তারা শ্রমিকদের যেসব অধিকার ক্ষুণ্নের কথা বলছে, আমাদের দেশে সে রকম শ্রম অধিকার ক্ষুণ্ন হয়নি। অতীতেও হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। এরপরও মার্কিন প্রশাসন যদি বাংলাদেশের ওপর কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় তা হলে সেটি শ্রম অধিকারের ইস্যুতে হবে না, সেটি হবে রাজনৈতিক কারণে।

তিনি আরও বলেন, শ্রম অধিকার ক্ষুণ্ন না হওয়ার পরও যদি রাজনৈতিক কোনো কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়Ñতা হলে সেটি অবশ্যই আমাদের জন্য চিন্তার বিষয় হবে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের তৈরি পোশাকের বড় বাজার। দেশটি বাংলাদেশ থেকে যদি পোশাক না নেওয়ার মতো কোনো সিদ্ধান্ত নেয় তা হলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারপরও আমি বলব, কারও জন্য কিছু আটকে থাকে না। মার্কিন বাজারে যদি রফতানি কমে যায়, তা হলে আমরা অন্য বাজারের দিকে বেশি জোর দেব। ইতিমধ্যে আমরা এশিয়ার বাজারে ভালো অবস্থান করে নিচ্ছি। তবে আমি বলব, সার্বিক পরিস্থিতি আমাদের দেশের সরকারকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে এবং দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া দরকার।

এদিকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, শ্রম অধিকার নিয়ে বাংলাদেশে গত ১০ বছরে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। এর মধ্যে তিনবার বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন হয়েছে। শ্রমবিধি হয়েছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শ্রমনীতি নিয়ে আমাদের শঙ্কা নেই। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র যেখানে শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করছে; সেখানে বাংলাদেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তাদের অধিকার ক্ষুণ্ন হয় এমন কিছু করবে না বলে আমাদের প্রত্যাশা। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ কোটা ও শুল্কমুক্ত সুবিধাও পায় না। রাজনৈতিক ইস্যুতে শ্রমিকদের ক্ষতি হয় এমন কিছু করবে না যুক্তরাষ্ট্র।

অবশ্য কূটনীতিবিদরা বলছেন, মার্কিন প্রশাসন যে হুমকি দিচ্ছে তাতে বাংলাদেশের শঙ্কার জায়গা রয়েছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও রাষ্ট্রদূত মো. মাহফুজুর রহমান সময়ের আলোকে বলেন, বিশ্বজুড়ে শ্রমিকদের অধিকার ও তাদের মানোন্নয়ন নিয়ে নতুন স্মারকপত্র প্রকাশের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গত ১৬ নভেম্বর তার বক্তব্যে বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিক নেতা কল্পনা আক্তারের কথা উল্লেখ করেন। তাই এখানে বাংলাদেশের শঙ্কার জায়গা আছে। আমাদের রফতানি ও বিনিয়োগের একটা বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হয়, শঙ্কাটা এখানেই। এ ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ কোনো কারণে সম্পর্কে অবনতি ঘটলে অগ্রাধিকারভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপের অবতারণা করা প্রয়োজন।

কী রয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাসের সেই চিঠিতে : যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (বাণিজ্য) মো. সেলিম রেজার লেখা চিঠিটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে গত ২০ নভেম্বর। ওই চিঠির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘বিশ্বব্যাপী শ্রমিক ক্ষমতায়ন, অধিকার ও উচ্চ শ্রমমান এগিয়ে নিতে স্মারক’ সংক্রান্ত একটি সংকলিত প্রতিবেদন পাঠানো হয়।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন, শ্রম অধিকার ও শ্রমিকদের মানসম্মত জীবনযাপন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ওই প্রেসিডেনশিয়াল মেমোরেন্ডাম স্বাক্ষর করার পর ১৬ নভেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে বলেন, যারা শ্রমিকদের অধিকারের বিরুদ্ধে যাবেন, শ্রমিকদের হুমকি দেবেন কিংবা ভয় দেখাবেন, তাদের ওপর প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

শ্রম অধিকার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এ নীতির বিষয়ে জানাতে গিয়ে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের পোশাক খাতের শ্রমিক আন্দোলনের নেতা কল্পনা আক্তারের নামটিও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, কল্পনা জানিয়েছেন, ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস তার পক্ষে দাঁড়িয়েছে এবং এ জন্য তিনি (কল্পনা) এখনও বেঁচে আছেন।

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, যদিও স্মারকটি একটি বৈশ্বিক নীতি, যা সব দেশের ওপর আরোপিত হতে পারে; তারপরও এটা বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে যে, বাংলাদেশ এই নীতির লক্ষ্যবস্তু হতে পারে। স্মারকটির প্রকাশ অনুষ্ঠানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ভারপ্রাপ্ত শ্রমমন্ত্রী বাংলাদেশের শ্রম-সংক্রান্ত বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন।

চিঠিতে বলা হয়, স্মারক অনুসারে বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসগুলো শ্রম-সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে সরাসরি কাজ করতে পারবে। তাই এ নীতি আগ্রহী মার্কিন দূত বা মিশনগুলোকে দেশি বা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে উৎসাহিত করতে পারে। এটা মনে হচ্ছে, শ্রম অধিকার লঙ্ঘন হয়েছে এমনটি তারা মনে করলে বা বিশ্বাস করলে এ নীতি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কিংবা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আরোপ করার সুযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশ দূতাবাসের চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, স্মারকের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় শঙ্কিত হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। এ স্মারকে শ্রম অধিকারের বিষয়ে যা বলা হয়েছে, তার পেছনে রাজনীতি রয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্নভাবে এ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ব্যবহার করতে পারে।

চিঠিতে বলা হয়, সে কারণে এ স্মারক বাংলাদেশের জন্য একটি বার্তা। কারণ শ্রম অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার অজুহাতে স্মারকে উল্লেখ করা যেকোনো পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র নিতে পারে। এ স্মারকের প্রভাব বাংলাদেশের পোশাক খাতের ওপর পড়তে পারে এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে।

এককভাবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র : রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে ৯৭০ কোটি মার্কিন ডলারের বাংলাদেশি পণ্য রফতানি হয়েছে, যার মধ্যে তৈরি পোশাক রফতানির পরিমাণ ছিল ৮৫১ কোটি ডলার। এককভাবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অবশ্য দেশটিতে পোশাক রফতানির পরিমাণ কমেই চলেছে। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রফতানি কমেছে ২৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এর মধ্যে শুধু সেপ্টেম্বর মাসেই রফতানি কমেছে প্রায় ৩৫ শতাংশ (৩৪ দশমিক ৭১ শতাংশ)। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। গত ৮ নভেম্বর প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য রয়েছে।

সময়ের আলো/আরএস/





https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close