ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু হোক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৩, ৬:৪৩ এএম  (ভিজিট : ৪৭৬)
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে নানা ঘটনার জন্ম হওয়ায় এবারের নির্বাচন বহুল আলোচিত। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। এতে নির্বাচন হয়ে উঠেছে আরও অর্থবহ এমন মত বিশ্লেষকদের। সংগত কারণে এবারের নির্বাচন ভিন্ন। পুলিশ সদর দফতর তথ্য অনুযায়ী, দেশব্যাপী অবরোধ ও হরতালে ৩৭৬টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে এবং ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভয়, শঙ্কা আর সহিংস পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েই দ্বাদশ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে কোনোভাবেই যেন পরিস্থিতি সংঘাতময় হয়ে উঠতে না পারে সে জন্য পুরো নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা দরকার। নির্বাচনের আগে কিছু সন্ত্রাসীগোষ্ঠী বিভিন্ন জায়গায়  ভাড়াটিয়া হিসেবে কাজ করে। শুরুতেই তাদের রুখতে হবে, না হলে বড় ধরনের যেকোনো ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনকে। প্রশাসন সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারলে কোনো ধরনের অঘটন আগামী দিনে ঘটতে পারবে না বলে বিশ^াস করা যায়। 

নির্বাচন ঘিরে কোনো ধরনের সংঘাত-সংঘর্ষ যাতে নতুন করে ঘটতে না পারে সে জন্য তালিকা ধরে কাজ কারতে হবে। তথ্য বলছে,  দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ভোটগ্রহণের অনুষ্ঠানে মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে এসে বা প্রার্থী ও দায়িত্বশীল কোনো ব্যক্তি তিনি যে দলের বা মতেরই হন মৃত্যুর মতো ঘটনা কিছুতেই কাম্য নয়। পত্রিকান্তরে, জাতীয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে সংঘর্ষ, ভোট বর্জন, সন্ত্রাসী  হামলায় আহত এবং ১৭ জনের মৃত্যু হয়।  একটি মৃত্যুও আমাদের কাম্য নয়। আরও একটি বিষয় খুবই উদ্বেগজনক, সেটা হচ্ছে কোন প্রার্থী কোথায় ভোট দেবেন, তা জেনে পরে তাকে আক্রমণ করে এটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। তাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এসব দুঃখজনক ঘটনা যেন আর না ঘটতে পারে। এ বিষয়ে নির্বাচনে থাকা দায়িত্বশীলদের আরও সতর্ক হবে, আমাদের প্রত্যাশা। এবারের দ্বাদশ নির্বাচন ঘিরে যাতে অতীতের কোনো নেতিবাচক ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে নিশ্চিয়তা দেওয়ার দায়িত্ব নির্বাচনে দায়িত্বশীলদের। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলো এ ব্যাপারে তাদের দায়িত্ব ভুলে যেতে পারে না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নানা কারণেই গুরুত্বপূর্ণ। এখন এ নির্বাচনকে অর্থবহ করে তোলার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সবার। অতীতে নির্বাচনকেন্দ্রিক নানা ভয়াবহতার শিকার হয়েছেন ভোটাররা। এবারাও নির্বাচনে ভোটারদের মাঝে কিছুটা উদ্বেগ উৎকণ্ঠা রয়েছে। 

সুষ্ঠু  নির্বাচনের জন্য পরিবেশ ঠিক রাখার কোনো বিকল্প নেই। প্রার্থী ও তাদের কর্মী- সমর্থকরা প্রচার চালাবে। সাধারণ ভোটাররা যাতে ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন সে নিরাপত্তাও নিশ্চিত করাই পুলিশ ও প্রশাসনের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার প্রশাসন ও পুলিশের আছে। আমরা মনে করি, রাজনীতি যেহেতু মানুষের কল্যাণেই, সেহেতু ভোটারদের শঙ্কা দূর করারও দায়িত্বও রাজনৈতিক দলগুলো অস্বীকার করতে পারে না। সর্বোপরি বলতে চাই-অবাধ ও সুষ্ঠু  নির্বাচনের মধ্যে দিয়েই ভোটারদের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা  হতে পারে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট  সবার ভূমিকা অনীস্বকার্য। প্রত্যাশা থাকবে, নির্বাচন হোক প্রশ্নমুক্ত। এগিয়ে যাক দেশ ও দেশের গণতন্ত্র। রাজনৈতিক সহিংসতার অবসান হোক চিরতরে। সংঘাত-সহিংসতামুক্ত সুন্দর পরিবেশে নির্বিঘ্নে হোক ভোট উৎসব-এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

শিক্ষার্থী, ঢাকা

সময়ের আলো/আরএস/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close