প্রকাশ: শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১১:৫৬ পিএম (ভিজিট : ৩৭৮)
বাংলাদেশের উৎপাদিত পণ্য কেবল সে দেশেই নয়, দেশের গণ্ডি পেরিয়ে কলকাতা তথা ভারতবাসীর কাছেও অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এমনিতে বাংলাদেশি এসব পণ্যের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে এপার বাংলায়। কিন্তু আন্তর্জাতিক মেলা ছাড়া সেভাবে বাংলাদেশি পণ্য খুব একটা পাওয়া যায় না কলকাতায়।
স্বভাবতই এই ধরনের মেলার জন্য মুখিয়ে থাকে এপার বাংলার মানুষ। আর শীতের শুরুতেই কলকাতার বুকে তেমন একটি মেলা হলে তো কথাই নেই! এই যেমনটা হয়েছে 'ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল মেগা ট্রেড ফেয়ার' এ।
কলকাতার সায়েন্স সিটি মেলা প্রাঙ্গণে গত ১৫ ডিসেম্বর শুরু হয়েছে এই মেলা, চলবে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত। বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, নেপাল, ভুটান, থাইল্যান্ড, ঘানা সহ ১৭টি দেশ এই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অংশ নিয়েছে, সেই সাথে ভারতের ২২টি রাজ্যের স্টল তো রয়েইছে। কিন্তু এত কিছুর মাঝেও মধ্যমণি বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন।
ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৪০টি স্টল রয়েছে এখানে। এই মেলায় যারা আসছেন, আগ্রহ নিয়েই এই প্যাভিলিয়নে ঢুকছেন, কেনাকাটাও করছেন। তবে পোশাকের স্টলগুলোতেই বেশি ভিড়। বিশেষ করে ঢাকাই জামদানি, ঢাকাই মসলিন, নকশি কাঁথার ওপরেই টান বেশি গ্রাহকদের। অনেকে আবার ফ্রুট ড্রিঙ্কস, ব্রেভারেজের দোকানগুলোতেও ভিড় জমাচ্ছেন, গলা ভেজাচ্ছেন।
এক নারী পোশাক বিক্রেতা জানালেন, 'গত কয়েক বছর ধরেই তারা এই আন্তর্জাতিক মেলায় অংশগ্রহণ করছে। আর বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বছরও কলকাতার গ্রাহকদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। বিশেষ করে মেলার শুরুর ছয় দিনের মাথায় এখনো পর্যন্ত গ্রাহকদের কাছ থেকে যে সাড়া পাওয়া গেছে তাতে যথেষ্ট সন্তোষজনক।'
জুট দিয়ে তৈরি ব্লেজার দেখে হতবাক রাজু সেন নামে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার এক ক্রেতা। তার অভিমত 'বাণিজ্য মেলাতেই এই জিনিস পাওয়া সম্ভব, অন্য কোন জায়গায় এই জিনিস পাওয়া আশা করা যায় না। তাছাড়া বাংলাদেশের জিনিস আমার খুবই পছন্দ।'
মেলার অন্যতম সংগঠক উৎপল রায় জানান, 'মানুষ যখন এই মেলায় প্রাঙ্গণে ঢুকছে তখনই তারা জানতে চাইছেন বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নটা কোথায় আছে।' কারণ হিসেবে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ মানেই আবেগ, আন্তরিকতা ও আতিথিয়তা। আর এটাই আকৃষ্ট করেছে লাখ লাখ গ্রাহককে।'
সময়ের আলো/জিকে