ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

বিদায় আবুবকর সিদ্দিক
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১২:৫৬ এএম  (ভিজিট : ৫৩০)
কবি, ঔপন্যাসিক, ছড়াকার, গল্পকার ও সমালোচক আবুবকর সিদ্দিক আমাদের ছেড়ে চিরতরে চলে গেলেন। ২৮ ডিসেম্বর ভোর পৌনে ৬টায় খুলনার সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৮ ডিসেম্বর বাদ জোহর খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে 
কবির জানাজা শেষে দাফন করা হয়। 

কবির মৃত্যুতে সাহিত্যাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। কবি ফারুক মাহমুদ লিখেছেন, ‘মৃত্যুযাপনে গেলেন কবি, কথাসাহিত্যিক, গণসংগীত রচয়িতা, ছড়ালেখক, সমালোচক, শিক্ষক আবুবকর সিদ্দিক। তিনি ছিলেন পঞ্চাশ দশকের জীবিত শেষ লেখক। বাংলা সাহিত্য তাকে বহুযুগ মনে রাখবে।’

কবি মামুন মুস্তাফা লিখেছেন, ‘আমাদের পারিবারিক বন্ধু, আমার পিতার বন্ধু, আমার শেষ আশ্রয়স্থল চলে গেলেন। এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারছি না। ক্ষমা করবেন চাচা।’ জীবদ্দশায় কিছুটা অবহেলার শিকার হয়েছিলেন কবি। কাটিয়েছেন নীরবে-নিভৃতে। 

কবি আবুবকর সিদ্দিক ১৯৩৪ সালের ১৯ আগস্ট রোববার বাগেরহাট জেলার গোটাপাড়া গ্রামে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতৃনিবাস একই জেলার বৈটপুর গ্রামে। পিতা মতিয়র রহমান পাটোয়ারী ছিলেন একজন সরকারি চাকরিজীবী।

বাবার চাকরিসূত্রে ১৯৩৫ সাল থেকে তিনি হুগলি শহরে এবং ১৯৪৩ সাল থেকে বর্ধমানে বসবাস করেন। ১৯৪৬ সালে পঞ্চম শ্রেণিতে থাকাকালীন তার প্রথম কবিতা আবদুস সাত্তার সম্পাদিত বর্ধমানের কথা পত্রিকায় ছাপা হয়।

তিনি বাগেরহাট মাধ্যমিক সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৫২ সালে মাধ্যমিক, ১৯৫৪ সালে বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং একই কলেজ থেকে ১৯৫৬ সালে স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৫৮ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
পেশাগত জীবনে তিনি পর্যায়ক্রমে চাখার ফজলুল হক কলেজ, দৌলতপুর বিএল কলেজ, কুষ্টিয়া কলেজ, বাগেরহাট পিসি কলেজ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। ১৯৯৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে অবসর নেন। এরপর কুইন্স ইউনিভার্সিটি ও ঢাকার নটর ডেম কলেজে অধ্যাপনা করেন।

তার প্রকাশিত ‘ধবল দুধের স্বরগ্রাম’, ‘বিনিদ্র কালের ভেলা’, ‘হে লোকসভ্যতা’, ‘মানুষ তোমার বিক্ষত দিন’সহ (১৮টি কাব্যগ্রন্থ আছে। আছে ‘হট্টমালা’ নামে একটি ছড়াগ্রন্থ। তার গল্পগ্রন্থের সংখ্যা ১০টি। তিনি ‘জলরাক্ষস’, ‘খরাদাহ’, ‘একাত্তরের হৃদয়ভষ্ম’, ‘বারুদপোড়া প্রহর’ নামে উপন্যাস লিখেছেন।

সাহিত্যে অবদানের জন্য কবি আবুবকর সিদ্দিক বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ,বাংলাদেশ কথাশিল্পী সংসদ পুরস্কার, বঙ্গভাষা সংস্কৃতি প্রচার সমিতি পুরস্কার (কলকাতা), খুলনা সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার, বাগেরহাট ফাউন্ডেশন পুরস্কার, ঋষিজ পদকসহ বহু পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেন। আমরা তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।

সময়ের আলো/আরএস/ 






https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close