ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

বিনামূল্যে ১৫০০ কিডনি প্রতিস্থাপনের নজির ডা. কামরুলের
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১২:২৭ পিএম  (ভিজিট : ৪৯৬)
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ১৫০০ কিডনি প্রতিস্থাপনের মাইলফলক স্পর্শ করলেন সেন্টার ফর কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালের (সিকেডি) প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম। তিনি প্রথম কিডনি স্থাপন করেছিলেন ২০০৭ সালে। এক হাজার কিডনি প্রতিস্থাপনে দীর্ঘ ১৪ বছর সময় লাগলেও শেষ ২৬ মাসে ৫০০ কিডনি প্রতিস্থাপন করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে মাদারীপুর জেলার পূর্ব ছিলাপুর গ্রামের বাসিন্দা, দুই কিডনি বিকল হয়ে যাওয়া ২৭ বছর বয়সী শহীদুলের কিডনি প্রতিস্থাপন করার মধ্য দিয়ে এই রেকর্ড গড়েন তিনি। 

অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে ডা. কামরুল বলেন, আল্লাহর কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা, আমি আমার ব্যক্তিগত জীবনে এক হাজার ৫০০ কিডনি প্রতিস্থাপন সম্পন্ন করতে পেরেছি। এই অর্জন আমার জন্য খুবই সম্মানের এবং গৌরবের। স্রষ্টার কাছে এর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কখনো শেষ হবে না। দোয়া করবেন যেন আমৃত্যু এই কাজটি করে যেতে পারি।

কামরুল ইসলাম বলেন, যখন আমরা কাজটা প্রথম শুরু করি, তখন আমাদের জন্য খুবই কঠিন ছিল। আমরা তখন নিশ্চিতও ছিলাম না আমাদের পরিকল্পনাগুলো আলোর মুখ দেখবে কি-না। তখন আমাদের একটা কিডনি প্রতিস্থাপন করতে খুবই ভয় হতো। আমরা দুশ্চিন্তায় ভুগতাম যে, আমাদের কাজটা সফল হয় কি-না, কোন ধরনের জটিলতা তৈরি হয় কি-না। যে কারণে প্রথম দিকে আমাদের প্রতিস্থাপনের সংখ্যা এত বেশি ছিল না।

তিনি আরো বলেন, প্রথম দিকে এক মাস-দুই মাসে একটা প্রতিস্থাপন করতাম, এমনকি সেই রোগীকে দীর্ঘদিন হাসপাতালে আমার ফলোআপে রাখতাম, যাতে সে পূর্ণ সুস্থ হয়। পরবর্তীতে যখন দেখলাম ভালোই হচ্ছে এবং কমপ্লিকেশনগুলো ওভারকাম করতে পারছি, তখন আমাদের প্রতিস্থাপনের সংখ্যা বাড়তে থাকলো। 

জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির শুরুর দিকে মাসে ২টি কিডনি প্রতিস্থাপন করলেও বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে ৫টি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। ডা. কামরুলের নেতৃত্বে ২০ জনের একটি চিকিৎসক দল কিডনি প্রতিস্থাপন করছেন।

স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত মানবিক এই চিকিৎসক বিগত ১৬ বছর ধরে কিডনি প্রতিস্থাপন করে আসছেন। তার প্রতিস্থাপনের সফলতার পরিমাণ ৯৫ শতাংশের বেশি।

এখন পর্যন্ত কিডনি প্রতিস্থাপন তিনি কোনো পারিশ্রমিক নেননি। তবে অস্ত্রোপচারের ওষুধসহ অন্যান্য খরচ রোগীকে বহন করতে হয়। সব মিলিয়ে খরচ হয় দুই লাখ টাকা। প্রয়োজনীয় প্রতিস্থাপন পরবর্তী ফলোআপ ও পরীক্ষা নিরীক্ষা করতেও রোগীর কাছ থেকে কোনো ফি নেন না এই অধ্যাপক। 

এক সময় ঢাকার জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন ডা. কামরুল। মানবিক কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২২ সালে দেশের সর্বোচ্চ সম্মান স্বাধীনতা পদক পান তিনি।

সিকেডি অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালের রেকর্ড বলছে, প্রতিস্থাপনের পর এক বছর কিডনি সচল থাকার হার ৯৪ শতাংশ। তিন বছর পর্যন্ত ৮৪ শতাংশ, পাঁচ বছর পর্যন্ত ৭২ শতাংশ এবং ১০ বছর পর্যন্ত কিডনি সচল বা সুস্থ থাকার হার ৫০ শতাংশ। তরুণদের কিডনি দানের হার বেশি হলে গ্রহীতারা আরও দীর্ঘ সময় সুস্থ থাকতে পারতো।

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  কিডনি   কিডনি প্রতিস্থাপন   সিকেডি   ডা. কামরুল ইসলাম  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close